‘পরিবারের সম্মান বাঁচাতে’ নিজের বোনকে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলার কথা গত শনিবার গ্রেফতার হওয়ার পরই স্বীকার করে ওয়াসিম। এজন্য কোনও অনুতাপ হচ্ছে না তার। মুফতির সঙ্গে কান্দিলের বেশ কিছু ভিডিও প্রকাশ্যে আসায়, সোস্যাল মিডিয়ায় কান্দিলের সক্রিয়তার জন্যই গত সপ্তাহের শেষদিকে সে পারিবারিক আবাসে তাকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে বেহুঁশ করে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে, জানিয়েছে ওয়াসিম।
কিন্তু কান্দিলের মায়ের দাবি, তাঁর মেয়ের হত্যায় জড়িত ওই মুফতি, কান্দিলের প্রথম স্বামী আশিক হুসেন ও শাহিদ নামে এক ব্যক্তি। মুফতির কথা শুনেই ওয়াসিম কান্দিলকে খুন করেছে। তিনি প্ররোচিত করেছেন ওয়াসিমকে। কান্দিলের প্রাক্তন স্বামীর সঙ্গে ওয়াসিমের যোগাযোগ আছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে মুফতির নামও কান্দিল হত্যার তদন্তে ঢোকানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। যে মুলতানে কান্দিল খুন হয়েছেন, সেখানকার পুলিশ প্রধান আজহার ইক্রাম বলেন, আমরা খুনের তদন্তে মুফতিকেও অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তদন্তের পরিধি বাড়ানো হয়েছে। আমরা ফরেনসিক রিপোর্টের অপেক্ষা করছি।
যদিও মুফতি জানিয়েছেন, পুলিশ তাঁকে ডাকলে তিনি সহযোগিতাই করবেন। তবে তিনি এও বলেছেন, হত্যাকারী নিজেই যেখানে অপরাধ কবুল করেছে, সেখানে তাঁকে তদন্তে অন্তর্ভুক্ত করা একটা হাস্যকর ব্যাপার।