দুবাই: ২০০১-এ ভারতীয় সংসদ ভবন চত্বরে জঙ্গি হামলাকে কেন্দ্র করে দু দেশের সম্পর্কে প্রবল উত্তেজনার মধ্যেই তিনি ভারতের বিরুদ্ধে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের কথা ভেবেছিলেন বলে জানালেন পারভেজ মুশারফ।
জাপানি দৈনিক মেইনিচি শিমবুনকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে প্রাক্তন পাক প্রেসিডেন্ট অবশ্য জানিয়েছেন, ভারতও পাল্টা আঘাত হানতে পারে, সেই আশঙ্কায় সে পথে পা বাড়াননি।

২০০২ -এ দ্বিপাক্ষিক টানাপড়েন, উত্তেজনা যখন চরমে, সে সময় 'পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগের চরম সীমারেখা পেরিয়ে যাওয়ার মতো বিপদ তৈরি হয়েছিল' বলে তাঁকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে সংবাদপত্রটি।

সে সময় মুশারফকে প্রকাশ্যে বলতে শোনা গিয়েছিল যে, পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের সম্ভাবনা খারিজ করে দেওয়া যাচ্ছে না।

সাক্ষাত্কারে ৭৩ বছর বয়সি প্রাক্তন পাক সেনাপ্রধান সেসময়ের কথা স্মরণ করে জানিয়েছেন, বহু রাত ঘুম ছিল না তাঁর চোখে, নিজেকেই তিনি বারবার প্রশ্ন করেছেন, পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগ করবেন কিনা বা করতে পারবেন কিনা।

যদিও একইসঙ্গে তিনি এও জানিয়েছেন, তখন ভারত বা পাকিস্তান, কারও ক্ষেপণাস্ত্রে পরমাণু অস্ত্র যু্ক্ত অবস্থায় ছিল না, সুতরাং তাকে ব্যবহার করার মতো অবস্থায় পরিণত করতেও এক-দুদিন সময় লেগে যেত।

সংবাদপত্রটি জানিয়েছে, তিনি ক্ষেপণাস্ত্রে পরমাণু অস্ত্র লাগিয়ে ছোঁড়ার জন্য তৈরি রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন কিনা, প্রশ্ন করা হয়েছিল মুশারফকে। তিনি জবাব দেন, ঈশ্বরকে ধন্যবাদ, আমরা তা করিনি, ভারতও করেছিল বলে মনে হয় না। সম্ভবত, ভারতের দিক থেকে প্রত্যাঘাতের সম্ভাবনার কথাই বলতে চেয়েছেন মুশারফ।
১৯৯৯ সালের অক্টোবরে অভ্যুত্থান ঘটিয়ে প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে ক্ষমতাচ্যুত করেন তত্কালীন সেনাপ্রধান মুশারফ। ২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট পদে ছিলেন তিনি।

চিকিত্সার কারণ দেখিয়ে গত বছর থেকে দুবাইয়ে রয়েছেন মুশারফ। পাকিস্তান ছাড়ার অনুমতি পান তিনি। ২০০৭ সালে দু বারের প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।