ইন্টারভিউয়ের সময় বা চাকরির প্রথম দু দিন মাথা ঢেকে আসেননি নজফ। তৃতীয় দিন হিজাব পরে আসেন। কেননা হিজাব পরাটা তাঁর কাছে আধ্যাত্মিক রীতি পালনের অঙ্গ। কিন্তু সেদিনই তাঁর নিয়োগকর্তা, ক্লিনিকের মালিক ডাঃ চাক জু তাঁকে মাথা থেকে হিজাব সরিয়ে ফেলতে বলেন। জু বলে দেন, কাজের জায়গায় তিনি এমন পরিবেশ চান যেখানে কোনও ধর্মের ছাপ থাকবে না। জু-র বক্তব্য, রোগীরা ইসলামিয় হিজাব দেখে ক্ষুব্ধ হতে পারেন। আর তিনি অফিসের ত্রিসীমানায় ধর্মকে ঢুকতে দেবেন না। সেখানে নিরপেক্ষ পরিবেশ চান। নজফ জানান, জু তাঁকে চরম শর্ত দেন, কাজে থাকতে হলে হিজাব ছাড়তে হবে, পরে এলে চাকরি খোয়াতে হবে। নজফ বলেন, আমি যখন ধর্মের ব্যাপারে আপস করতে পারব না বলে জানাই, জু নিজেই দরজা দেখিয়ে দেন। আমিও বেরিয়ে আসি।
এনবিসি ওয়াশিংটনকে নজফ বলেছেন, আমি দারুণ হতাশ হই। যেদিন চাকরি গেল, বিধ্বস্ত হয়ে পড়ি।
এদিকে নজফের ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়ে কাউন্সিল অন অ্যামেরিকান ইসলামিক রিলেশনস বলেছে, নিজস্ব ধর্মাচরণের জন্য কোনও কর্মচারীকে বরখাস্ত করা অনুচিত। আমরা ওই মুসলিম কর্মীকে কাজে ফিরিয়ে নিতে ফেয়ার ওকস ডেন্টাল কেয়ারকে বলছি। পাশাপাশি আইন অনুসারে তাঁকে যুক্তিসঙ্গত ভাবে ধর্মীয় রীতি মেনে চলার সুযোগ দিতে হবে।
যদিও চাকরি ফিরে পাওয়ার প্রস্তাব পেলেও তা সম্ভবত প্রত্যাখ্যান করবেন, জানিয়ে দিয়েছেন নজফ।