বস্টন: হতে পারে বাবা বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের মহাশক্তিধর রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট, কিন্তু সারা জীবন তো তাঁর পরিচয়ের ছায়ায় থাকলে চলবে না। করে খেতে হবে, নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে। দুই মেয়েকে সেই মন্ত্রই শিখিয়েছেন বারাক এবং মিশেল ওবামা, ওদের সাধারণ বাড়ির ছেলেমেয়েদের মতোই বড় করে তোলার চেষ্টা করছেন বলে শোনা যায়। হয়তো সেজন্যই তাঁদের ছোট মেয়ে সাশা হোয়াইট হাউসের প্রাচুর্য্য, বৈভবের জীবন থেকে বেরিয়ে গরমে কাজ নিয়েছেন ম্যাসাচুসেটস-এর মার্থাস ভাইনইয়ার্ডের সামুদ্রিক খাবারের রেস্তোরাঁ ন্যান্সিস-এ। সেখানে খাবার সার্ভ করছেন, পরিষেবা শিল্পের খুঁটিনাটি শিখছেন। অবশ্য নাতাশা নামে কাজ করছেন তিনি।

ব্যস্ত খাবারের দোকানের এক কর্মীকে উদ্ধৃত করে ‘বস্টন হেরাল্ড’ জানিয়েছে, টেকআউটে কাজ করছে ও। আমরা তো অবাক হয়ে ভাবছিলাম, কেন মেয়েটাকে ৬ জন সাহায্য করছে। পরে জানলাম ও কে।

 



প্রেসিডেন্টের মেয়ে  বলে কথা। তাই সাশা যতক্ষণ কাজ করছেন, বাইরে রেস্তোরাঁর বাইরে এক পেল্লায় এসইউভি-তে বা টেকআউটের বেঞ্চে ঠায় বসে থাকছে ৬ জন সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টের এক বাহিনী। শিফট শেষ হলে সাশা আর নেভি ব্লু ন্যান্সিস টি শার্ট, বেসবল ক্যাপ পরা তাঁর এক বন্ধু ওই এজেন্টদের জন্য ভিতর থেকে ট্রে-তে সাজিয়ে রাখা পানীয় নিয়ে এসে এসইউভি-তে উঠে পড়ছেন।

ন্যান্সিস বরাবরই মার্কিন ফার্স্ট ফ্যামিলির পছন্দের জায়গা। ওদিকে বার্ষিক অবসর কাটাতে গেলে ওখানে সামুদ্রিক খাবারের টানে তাঁরা যাবেনই। মার্কিন সংবাদপত্রটির খবর, ন্যান্সিস-এক মালিক নাকি আবার প্রেসিডেন্টের বিশেষ বন্ধু। সেই সূত্রেই ওখানে কাজ নিয়েছেন সাশা। সাড়ে ৩৫০ আসনের রেস্তোরাঁয় চার ঘণ্টার শিফটে কাজ করছেন তিনি।
পড়াশোনাও চলছে। ২০১৭-য় সাশা আর তাঁর দিদি মালিয়া যাবেন হার্ভার্ড-এ। তবে তার আগে নিচ্ছেন হাতে-কলমে জীবনের পাঠও!