উত্তরপাড়া: ফের বিদেশে বাঙালির রহস্যমৃত্যু। প্যারিসে চার বছর ধরে কর্মরত উত্তরপাড়ার তরুণ বিজ্ঞানী স্নিগ্ধদীপ দে-র মৃত্যু ঘিরে ধোঁয়াশা। শনিবারই কথা হয়েছিল, দাবি পরিবারের।আর কয়েক দিন বাদেই বাড়ি ফেরার কথা ছিল। কিন্তু, তার আগেই এল দুঃসংবাদ।


বরাবরই মেধাবী ছাত্র বলে পরিচিত। স্কুল-কলেজ উত্তরপাড়ায়। মৌলানা আজাদ থেকে এমএসসি। তারপর বেঙ্গালুরুতে জওহরলাল নেহরু সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড সায়েন্টিফিক রিসার্চে গবেষণা।


সেখান থেকে যান পর্তুগাল। পর্তুগাল থেকে প্যারিস।গত চার বছর ধরে ফ্রান্সের রাজধানীই ছিল বাঙালি বিজ্ঞানীর ঠিকানা। বিয়ের পর স্ত্রীকেও সেখানে নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু, ডিসেম্বরে তিনি হুগলি ফিরে আসেন। এক সন্তানের জন্ম দেন।


গত কয়েক মাস, প্যারিসে একাই ছিলেন তরুণ বিজ্ঞানী স্নিগ্ধদীপ। পরিবারের দাবি, শনিবারও তাঁর সঙ্গে ফোনে কথা হয়। জানায়, সব ঠিক আছে। কিন্তু, রবিবার ফোনে পাওয়া যাচ্ছিল না।


প্যারিসে স্নিগ্ধদীপের বাড়িওয়ালির সঙ্গে যোগাযোগ করে পরিবার। বাড়িওয়ালি জানান, স্নিগ্ধদীপ মারা গিয়েছেন। কিন্তু কী ভাবে? কিছুই বুঝে উঠতে পারছে না পরিবার। তাদের অভিযোগ, এ বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানাননি প্যারিসের বাড়িওয়ালি।


তরুণ বাঙালি বিজ্ঞানীর দেহ দেশে ফেরানোর জন্য ইতিমধ্যেই বিদেশমন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন পরিজনেরা। যোগাযোগ করা হয়েছে জেলাশাসক এবং পুরসভার সঙ্গেও। দু’মাসের বাচ্চাকে কবে কোলে তুলে নেবেন, তার জন্য প্যারিসে বসে দিন গুনতেন স্নিগ্ধদীপ। সেই বাঙালি বিজ্ঞানীর আর বাড়ি ফেরা হল না।


কয়েক দিন আগেই পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরের মেধাবী ছাত্র, চিরঞ্জিৎ হাজরার অস্ট্রেলিয়ায় এমবিএ  পড়তে গিয়ে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়। আর এবার হুগলির তরুণ বিজ্ঞানীর প্যারিসে রহস্য-মৃত্যু।