নয়াদিল্লি: দেশের মহিলা কমিউনিস্ট গেরিলাদের যৌনাঙ্গে গুলি করার নির্দেশ দিয়েছেন ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্ট রডরিগো দুতার্তে যাতে তারা 'ব্যবহারযোগ্য' না থাকে! তাঁকে উদ্ধৃত করে ভাইস নিউজ জানিয়েছে, সেনাদের বলুন। মেয়রের নয়া নির্দেশ। আমরা ওদের মারব না। শুধু যৌনাঙ্গে গুলি করতে হবে। যৌনাঙ্গ না থাকলে কোনও কাজই হবে না ওদের দিয়ে।
সম্প্রতি আত্মসমর্পণ করা প্রাক্তন কমিউনিস্ট গেরিলাদের নিয়ে বৈঠকে বসে এ কথা বলেন দুতার্তে। পরে অবশ্য তাঁর ভাষণের যে সরকারি বয়ান প্রকাশ করা হয়, তাতে আপত্তিকর শব্দটি নেই। কিন্তু স্থানীয় মিডিয়ার খবর, তিনি বৈঠকে একাধিকবার সেটি উচ্চারণ করেন।
আন্তর্জাতিক মহলে বিরাট প্রতিক্রিয়া হচ্ছে দুতার্তের মন্তব্যের। মিডিয়া, মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলি এর তীব্র নিন্দা করেছে।
ফিলিপিন্সের একটি উগ্র বাম গোষ্ঠী বলেছে, দুতার্তে নোংরা ভাষায় কথা বলতে অভ্যস্ত ফ্যাসিস্ট হিসাবে নিজেকে আলাদা করে চিনিয়ে দিতে সফল। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন চরম লঙ্ঘনে প্ররোচনা দিয়েছেন উনি।
মানবাধিকার সংগঠনগুলির দাবি, এমন মন্তব্য করে দুতার্তে যৌন হিংসা, যুদ্ধাপরাধেই ইন্ধন দিলেন।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, দুতার্তের নারীবিদ্বেষী, মহিলাদের প্রতি অপমানসূচক, আপত্তিকর একাধিক মন্তব্যের তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন এটি। তাঁর নানা মন্তব্যে দেশে সশস্ত্র সংঘর্ষ চলাকালে মহিলাদের ওপর যৌন নিগ্রহে প্ররোচনা জুগিয়েছে সশস্ত্র বাহিনীকে।
দুতার্তে এর আগে অপহৃত এক অস্ট্রেলিয় মহিলার ধর্ষণ নিয়ে মজা করে খবরের শিরোনামে এসেছিলেন। তিনি সে সময় ছিলেন দাভাওয়ের মেয়র। সেখানেই ধর্ষণ করা হয় মহিলাকে। দুতার্তেকে আক্ষেপ করতে শোনা যায়, মেয়র হিসাবে তিনি প্রথম মহিলাকে ধর্ষণ করতে পারেননি! ২০১৬-র প্রচারের সময় তাঁর ভাষণ উদ্ধৃত করে দি গার্ডিয়ান বলেছিল, ধর্ষণের জন্য আমি কি পাগল হয়ে ছিলাম? মহিলা এতই সুন্দরী ছিল। মেয়রেরই প্রথম ধর্ষণ করার কথা। কী অপচয়!
দুতার্তের অবশ্য সমালোচনা সত্ত্বেও হেলদোল নেই। তাঁর মুখ থেকে 'খারাপ কথা' বেরয়, তিনি ভদ্রলোক নন, অতীতে স্বীকার করেন, তবে সেইসঙ্গে বলেন, আমি কিন্তু ভোটে জিতেছি।