মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা এমনই অভিনব পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার পথে। প্রাথমিক পরীক্ষা সফল। মহাকাশচারী জেফ উইলিয়ামস ৭ ঘণ্টারও বেশি সময়ের চেষ্টায় ৬৭ ইঞ্চি লম্বা ওই ঘরে বাতাস ভরতে সক্ষম হয়েছেন। এবার বড় আকারে ঘর তৈরি করতে চাইছে নাসা।
চাঁদ বা মঙ্গল অভিযানে গিয়ে মহাকাশচারীরা যাতে পৃথিবীর আবহাওয়া বিশিষ্ট একটি ঘরে পেতে পারেন তার জন্য বেশ কিছুদিন ধরেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে নাসা। সেই চেষ্টা এবার সফল হল বলেই জানিয়েছেন নাসার মুখপাত্র ড্যানিয়েল হুট।
একটি বেসরকারি সংস্থা এই ‘ঘর’ তৈরি করেছে। এই বিশেষ যানটিকে পুরোপুরি বাসযোগ্য করে তুলতে প্রতি বর্গ ইঞ্চিতে মাত্র ০.৪ পাউন্ড হাওয়া লাগে। পুরোপুরি তৈরি হয়ে গেলে যানটি হবে ১৩ ফুট লম্বা এবং ১০.৫ ফুট চওড়া। এখন এই ঘরটিতে কোনও গলদ আছে কি না বা হাওয়ার অভাব হচ্ছে কি না সেটা খতিয়ে দেখবেন মহাকাশচারীরা। এরপরেই এই ঘরটি ব্যবহার করা হবে।
মহাকাশে এমন একটি বাসযোগ্য ঘর পেলে মহাকাশচারীদের সুবিধাই হবে। তবে এই ঘর তেজষ্ক্রিয়তা থেকে তাঁদের রক্ষা করতে পারবে কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়।