নয়াদিল্লি: প্রথম থেকেই ইউক্রেন (Ukraine) দাবি করে এসেছে, রাশিয়া লাগাতার মিসাইল হামলা বা বিমানহানা চালালেও যুদ্ধ একতরফা হচ্ছে না। ইউক্রেনের সেনার প্রতিরোধে প্রাণ গিয়েছে বহু রাশিয়ান সেনা ও সেনাকর্তার। এবার একই সুর ন্যাটোর (nato) গলাতেও। তাদের দাবি প্রায় মাসখানেকের যুদ্ধে অন্তত সাত হাজার থেকে প্রায় ১৫ হাজার রাশিয়ান সেনার মৃত্যু হয়েছে।


কীভাবে মিলেছে তথ্য?
ন্যাটোর দাবি, মূলত তিন ধরনের উৎস (source) থেকে মিলেছে এই তথ্য। ইউক্রেনের দেওয়া তথ্য বিচার করা হয়েছে। রাশিয়ার তরফে তাঁদের সেনার মৃত্যু নিয়ে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, ন্যাটোর নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে যে তথ্য মিলেছে তার ভিত্তিতেই এই দাবি করেছে ন্যাটো। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, আফগানিস্তানেও সেনা পাঠিয়েছিল রাশিয়া। সেখানে ১০ বছরে মৃ্ত্যু হয়েছিল পনেরো হাজার রাশিয়ান সেনার। ন্যাটোর দাবি সত্যি হয়ে থাকলে সেই তুলনায় ইউক্রেনে অনেক বেশি ধাক্কা খেয়েছে রাশিয়া।


২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। অস্ত্রের সম্ভার (arms), রসদ, অর্থ এবং সেনার সংখ্যা--সবদিক থেকেই ধারভারে অনেক এগিয়ে ছিল রাশিয়া। ফলে অনেকে মনে করেছিলেন সামান্য কদিনেই ইউক্রেনের সরকারকে উৎখাত করে ফেলবে রাশিয়া। কিন্তু আদতে তেমনটা হয়নি। আমেরিকা ও ইউরোপীয় দেশগুলির সাহায্য পেয়েছে ইউক্রেন। পূর্ব ইউরোপের দেশটির হাতে এসেছে বিপুল পরিমাণ আধুনিক অস্ত্র। তার ফলেই হোঁচট খাচ্ছে রাশিয়া, এমনটাই মনে করছে সামরিক বিশেষজ্ঞরা। 


কেন এত মৃত্যু?
এছাড়া, সামরিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, রাশিয়া বিমানবাহিনী (russian airforce) ব্যবহার করে বোমাবর্ষণ করেছে ঠিকই। কিন্তু তাদের সেনাবাহিনীকে ততটা সুরক্ষাবলয় দিতে পারেনি। ফলে ইউক্রেনের (ukraine) অনেকটা ভিতরে ঢুকে যাওয়া রাশিয়ান পদাতিক বাহিনী, বিমানবাহিনীর সাহায্য তেমন পায়নি। এই সুযোগে ইউক্রেনের সেনার গেরিলা হামলায় ক্ষতি হয়েছে রাশিয়ার (russia) সেনার। নিজেদের ভূখণ্ড হওয়ায় এলাকা চেনা থাকায় ওই ধরনের আক্রমণে কিছুটা হলেও সুবিধে পেয়েছে ইউক্রেন। সব মিলিয়ে বেড়়েছে রাশিয়ান সেনার মৃত্যু। এমনটাই মনে করছেন সামরিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।


আরও পড়ুন: রাশিয়াকে সাহায্য! আশঙ্কা ন্যাটো প্রধানের