নয়াদিল্লি: প্রায় একমাস হতে চলল যুদ্ধ চলছে রাশিয়া-ইউক্রেনের (Russia-Ukraine)। ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই রাশিয়াকে রুখতে সবরকম চেষ্টা চালিয়েছে আমেরিকা। টানা আর্থিক নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে রাশিয়াকে আর্থিকভাবে ধাক্কা দেওয়ার চেষ্টাও হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে চিনের কাছে রাশিয়া সাহায্য চাইছে বলে আগেই দাবি করেছিল আমেরিকা এবং বিশেষ করে ন্যাটো। সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছিল চিন। ফের ওই দাবি করল ন্যাটো (North Atlantic Treaty Organization)।


কী অভিযোগ?
ব্রাসেলসে ন্য়াটোর সামিটে  ন্যাটোর প্রধান জেন স্টলটেনবার্গ (Jens Stoltenberg) দাবি করেন, রাশিয়াকে নানাভাবে সাহায্য করছে চিন। তিনি বলেন, 'চিন মিথ্যে কথা বলছে। চিন রাশিয়াকে রাজনৈতিকভাবে সাহায্য করছে।' চিনের তরফে রাশিয়াকে সরঞ্জাম দিয়েও সাহায্য করা হচ্ছে বলে ন্যাটো সূত্রে দাবি।   


ন্যাটোর অবস্থান
এর আগে যুদ্ধের সময় ইউক্রেন বারবার আবেদন করলেও রাশিয়ার বিরুদ্ধে সরাসরি সেনা নামায়নি আমেরিকা বা ন্যাটো। কিন্তু অর্থ থেকে সমরাস্ত্র, সামরিক তথ্য থেকে পরিকাঠামোগত সুবিধা। ইউক্রেনকে সবরকম সাহায্য করে আসছে আমেরিকা ওই ইউরোপের অন্যান্য দেশ। গত একমাসের মধ্যেই ইউক্রেনকে বিপুল পরিমাণ আর্থিক সাহায্য করেছে আমেরিকা।  সাধারণভাবে সেনার সংখ্যায় এবং সমরাস্ত্রের বিচারে রাশিয়ার তুলনায় ধারেভারে অনেকটা পিছিয়ে থাকলেও এই সাহায্যের জেরেই রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেন এতদিন টক্কর দিতে পারছে বলে মনে করছেন সামরিক বিশেষজ্ঞরা। ইউক্রেন বারবার আবেদন করলেও সেনা নামায়নি ন্যাটো। তাদের দাবি ছিল, রাশিয়ার (russia) বিরুদ্ধে সরাসরি সংঘাতে গেলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী। এর মধ্যেই রাশিয়ার দাবি ছিল, ইউক্রেনে অশান্ত পরিস্থিতি বজায় রাখতে চাইছে পশ্চিমীশক্তিগুলিই। এমনকী, ইউক্রেনে ভাড়াটে সৈন্য ঢোকানোর অভিযোগও করেছিল রাশিয়া।


এর মধ্যে ইউনাইটেড নেশনসের মঞ্চে বারবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোটগ্রহণ থেকে বিরত ছিল চিন (china)। একই পথ নিয়েছিল ভারত-পাকিস্তান সহ আরও একাধিক দেশ। তখন থেকেই চিনের সঙ্গে রাশিয়ার পারস্পরিক সামরিক সাহায্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল পশ্চিমী শক্তিগুলি। ফের সেই প্রশ্ন ন্যাটো (nato) প্রধানের মুখে। 


আরও পড়ুন: আর্তনাদ, হাহাকার, মৃত্যু পেরিয়ে ঠিকানা খুঁজছে ইউক্রেনীয়রা, দেখুন ছবি