কাঠমান্ডু: উড়ানের পরই যাত্রীসমেত নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত নেপালে (Nepal Plane Crash) নিখোঁজ বিমানের ধ্বংসাবশেষ মিলল (Plane Debris)। মুস্তাঙ্গের লার্জুঙ্গে খোঁজ মিলল তারা এয়ারের বিমানের ধ্বংসাবশেষ। আবহাওয়া খারাপ থাকায় উদ্ধারকাজে পাঠানো যাচ্ছে না হেলিকপ্টার। দুর্ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে পুলিশের উদ্ধারকারী দল।
উড়ানের ১৫ মিনিট পরই নিখোঁজ হয়ে যায় বিমানটি
চার ভারতীয়-সহ বিমানের ২২ জন আরোহীরই প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিমানটিতে ৩ জন জাপানের নাগরিকও ছিলেন। পোখরা থেকে জমসম যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়ে যায় বিমানটি। শেষবার বিমানটিকে দেখা যায় জমসমের আকাশে। বিমানটি ধৌলাগিরি পর্বতের দিকে অভিমুখ বদল করে। তারপরই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বিমানটির সঙ্গে।
যাত্রীবাহী ছোট আকারের ওই Twin Otter 9N-AET বিমানটি টাটার বলে জানা গিয়েছে। নেপালের একটি বেসরকারি বিমান পরিবহণ সংস্থা ছিল পরিচালনার দায়িত্বে। রবিবার সকাল ৯টা বেজে ৫৫ মিনিটে পোখরা থেকে উড়ানের ১৫ মিনিট পরই কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে বিমানটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: India Corona Update: দেশে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ফের তিনহাজার ছুঁইছুঁই, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১৪
ওই বিমান পরিবহণ সংস্থা জানিয়েছে, পশ্চিমের পার্বত্য অঞ্চলের জমসন বিমানবন্দরে বিমানটির অবতরণের কথা ছিল। কিন্তু যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় বিমানটির খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত ঘাসার কাছে তীব্র শব্দে কিছু ভেঙে পড়ার আওয়াজ শোনা গিয়েছে বলে খবর আসে তাদের কাছে। নেপাল সরকারের তরফে দু'টি হেলিকপ্টার পাঠানো হয় বিমানটির খোঁজে।
ভেঙে পড়ল টাটার বিমান
নেপালে অন্তর্দেশীয় বিমান পরিবহণ ক্ষেত্রে কার্য়ত একচেটিয়া ব্যবসা টাটার। বিপর্যয়ের সময় খাদ্য, ওষুধ, ত্রাণ সরবরাহ হোক বা উদ্ধারকার্য, সবেতেই টাটার বিমান কাজে লাগে। স্বল্পদূরত্বের যাত্রার জন্য ব্যবহৃত বিমানের সাতটি বহর রয়েছে টাটার। তার মধ্যে রয়েছে পাঁচটি Twin Otter DHC 6/300 এবং দু'টি Dornier DO 228 বিমান। পর্বত দিয়ে ঘেরা দেশ নেপালে বিমান দুর্ঘটনা প্রবণ বলই পরিচিত।