পুলিশ বাড়িটি ঘিরে ফেলতেই ওই জঙ্গিরা পুলিশের ওপর হামলা চালাতে শুরু করে বলে খবর। আইএস জঙ্গিদের ধাঁচে এরাও কালো পোশাক পরেছিল, মাথায় ছিল পাগড়ি। গুলি চালাতে চালাতে চিৎকার করছিল ‘আল্লা হু আকবর’। ৯জনকে খতম করার পাশাপাশি ২ জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ, এদের মধ্যে একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সে জানিয়েছে, সে জীবননগরের বোগরা এলাকার বাসিন্দা, নাম হাসান। আগে রান্নার কাজ করত, আইএসের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে গত বছর নাম লেখায় জঙ্গিগোষ্ঠীতে।
গুলশনের মত বড় মাপের জঙ্গি হানার উদ্দেশে এই জঙ্গিরা এখানে জড়ো হয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। তারা জানায়, যে ফ্ল্যাটে জঙ্গিরা ছিল, তাতে ৭টি ঘর রয়েছে। ৭ জঙ্গির দেহ মেলে করিডোরে, ২জনকে বেডরুমে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। মৃতদের কাছ থেকে প্রচুর বুলেটের খোল, ছুরি, গ্রেনেডের মত ৬টি অস্ত্র ও একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। পাওয়া গেছে বেশ কয়েকটা কালো পাঞ্জাবিও।
পুলিশের নির্দেশে এখানকার সব স্কুল এদিনের মত বন্ধ রাখা হয়েছে। ঢাকায় সাম্প্রতিককালে সংখ্যালঘু ও ধর্মনিরপেক্ষ, মুক্তমনাদের ওপর যত হামলা হয়েছে, তার প্রায় সবকটির দায় নিয়েছে আইএস। যদিও বাংলাদেশে আইএসের উপস্থিতির কথা কখনও স্বীকার করেনি শেখ হাসিনা সরকার। তাদের দাবি, এই সবই দেশের মাটিতে বেড়ে ওঠা জঙ্গিদের কীর্তি।
এ মাসের একেবারে শুরুতে ঢাকার গুলশনের হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালিয়ে ২২জনকে নৃশংসভাবে খুন করে ৬ জঙ্গি। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ৫ জঙ্গির মৃত্যু হয়, মারা যান ২ পুলিশকর্মী।