ঘটনার তদন্তকারী অফিসার জানিয়েছেন, কান্দিলের বোন শাহনাজ ও সম্পর্কিত ভাই হক নওয়াজকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৬ জুলাই মুলতানে নিজেদের বাড়িতেই খুন হন কান্দিল। তাঁকে খুন করেন তাঁরই ভাই ওয়াসিম। এদিন বিচারবিভাগীয় ম্যাডিস্ট্রেট ওয়াসিমের পুলিশ হেফাজতের মেয়াদ আরও তিন দিন বাড়িয়েছেন।
ওয়াসিম তার স্বীকারোক্তিতে জানিয়েছে, সে একাই কান্দিলকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। যদিও পুলিশ ওয়াসিমের ওই স্বীকারোক্তি পুরোপুরি বিশ্বাস করছে না। পুলিশ শাহনাজ ও হক নওয়াজের হত্যাকাণ্ডে সম্ভাব্য ভূমিকা খতিয়ে দেখতে চাইছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই ওয়াসিমের পলিগ্রাফ ও ডিএনএ টেস্ট করেছে।
পুলিশের পদস্থ আধিকারিক আলি মর্দান বলেছেন, চলতি সপ্তাহেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হবে মৌলবী মুফতি আব্দুল কাভিকে। উল্লেখ্য, কাভির সঙ্গে তোলা কয়েকটি ছবি ফেসবুকে শেয়ার করেছিলেন কান্দিল। এই ঘটনা নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধে। কাভিকে রুয়েত-ই-হিলাল কমিটি থেকে বরখাস্ত করা হয়।
কান্দিলের হত্যাকাণ্ডের পর পাক সরকার ঘোষণা করে যে, পরিবারের অন্যান্য লোকজন যাতে আইনের ফাঁকফোকর খুঁজে খুনিকে ক্ষমা করতে না পারেন, সেজন্য একটি আইন প্রণয়ন করা হবে।