লন্ডন: পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক (পিএনবি) জালিয়াতিতে অভিযুক্ত নীরব মোদির জামিনের ব্যবস্থা করার জন্য তাঁর পোষা কুকুরের কথাও উল্লেখ করেন আইনজীবীরা। কারণ, ইংল্যান্ডে সামাজিকভাবে পশুপ্রেমিকদের বিশেষ সম্মান আছে। সেটাই কাজে লাগানোর চেষ্টা করেন এই অভিযুক্ত। তা সত্ত্বেও অবশ্য জামিন মেলেনি।

গতকাল ওয়েস্টমিনস্টার ম্যাজিস্ট্রেস কোর্টের প্রধান বিচারপতি এমা আর্বাথনটের এজলাসে নীরবের আইনজীবী ক্লেয়ার মন্টগোমারি বলেন, ‘নীরব মোদির ছেলে চার্টারহাউসে (লন্ডনের স্কুল) পড়ত। সে এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে গিয়েছে। বয়স্ক বাবা হিসেবে নীরবকে কুকুর পোষার অনুমতি দেওয়া হোক। তাঁর কোনও পদক্ষেপেই মনে হচ্ছে না পালিয়ে যাবেন। তিনি এই দেশে থাকার সুযোগ পেয়েছেন। অন্য কোনও দেশের নাগরিকত্বের আবেদন জানাননি তিনি। নীরবের উপর নজরদারি চালানোর জন্য তাঁর শরীরে ইলেকট্রনিক ট্যাগ লাগানো হোক। প্রয়োজন হলেই যে কোনও থানায় হাজিরা দিতে তৈরি নীরব। তিনি জামিনের শর্ত হিসেবে ১০ লক্ষ টাকা দিতেও তৈরি।’

নীরবের মতোই ঋণখেলাপি বিজয় মাল্যরও আইনজীবী মন্টগোমারি। তিনি নীরবের জামিনের জন্য অনেক চেষ্টা করেন। ভারতের পক্ষ থেকে পাল্টা যুক্তি দেওয়া হয়, নীরবের জামিন মঞ্জুর করা হলে তাঁর পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া তিনি এই মামলার সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন এবং তথ্য-প্রমাণ নষ্ট করতে পারেন। তাই তাঁর জামিন মঞ্জুর করা উচিত নয়। বিচারপতি এই যুক্তি মেনে নিয়ে বলেন, ইতিমধ্যেই সাক্ষীদের প্রভাবিত এবং মোবাইল ফোন ও সার্ভার থেকে প্রমাণ লোপাট করা হয়েছে। এই কারণেই দ্বিতীয়বার নীরবের জামিনের আবেদন নাকচ করা হয়েছে।

বিচারপতি হাল্কা মেজাজে ভারতের পক্ষ থেকে আদালতে থাকা আইনজীবীর কাছে জানতে চান, ভারতে প্রত্যর্পণ করা হলে মাল্য ও নীরবকে কি একই কারাগারে এক সেলে রাখা হবে? মাল্যকে মুম্বইয়ের আর্থার রোড জেলে রাখা হবে বলে আগেই আদালতে জানিয়েছিল ভারত। সে কথা উল্লেখ করেই এই মন্তব্য করেন বিচারপতি।