মঞ্চের প্রেসিডেন্ট জোস লুই পাজোস জানিয়েছেন, তাঁদের স্পষ্ট অভিমত, হোমওয়ার্কের চাপে বাচ্চাদের খুব ক্ষতি হচ্ছে। পড়াশোনার বাইরে ওদের সার্বিক বিকাশের পথে বাধা হোমওয়ার্কের বোঝা।
অর্গানাইজেশন ফর ইকনমিক কোঅপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ২০১২ সালে একটি শিক্ষা সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল। তাতে দেখা যায়, সমীক্ষা চালানো ৩৮টি দেশের মধ্যে রাশিয়া, ইতালি, আয়ারল্যান্ড, পোল্যান্ডের পর হোমওয়ার্কের বহর সবচেয়ে বেশি স্পেনেই। কিন্তু হোমওয়ার্কের পরিমাণ বাড়িয়ে স্পেনের ছেলেমেয়েদের শিক্ষার মান খুব ভাল করা গিয়েছে, এমনটা নয়। রিপোর্টেই তাদের অঙ্ক, বিজ্ঞান ও বইপত্র পাঠে কম নম্বর দেওয়া হয়। তুলনামূলক ভাবে সবচেয়ে ভাল ফল দেখিয়েছে যে দুটি দেশের পড়ুয়ারা, সেগুলি হল ফিনল্যান্ড ও দক্ষিণ কোরিয়া। এই দুটি দেশের ছাত্রছাত্রীরা প্রতি সপ্তাহে হোমওয়ার্কের পিছনে গড়ে তিন ঘন্টারও কম সময় ব্যয় করে।
স্পেনের শিক্ষা ব্যবস্থায় মুখস্থ করে মনে রাখার মতো চিরাচরিত পদ্ধতির ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় বলে জানান পাজোস। তাঁর বক্তব্য, সব কিছু মুখস্থ করে মনে রাখার দরকার নেই। ওদের বোঝাতে হবে, কী করে তথ্যকে আত্মস্থ করতে হয়, সমালোচনামুখী হতে হয়। কোনটা দরকার, কোনটা নয়, বেছে নেবে কীভাবে, সেটা বোঝানো প্রয়োজন।
সমাজ বিরাট বদলেছে, কিন্তু ক্লাসরুমের পরিবেশ, ছবিটা বদলায়নি, মন্তব্য করেছেন তিনি।