ইসলামাবাদ: ‘ভারতের আগ্রাসন’ গোটা উপমহাদেশকে বিপন্ন করে তুলেছে। পাকিস্তানেরও ক্ষমতা আছে পাল্টা সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালানোর। পাকিস্তানকে কেউ খারাপ চোখে দেখলে, তা একেবারেই সহ্য করা হবে না, এমনই হুঁশিয়ারি শোনা গেল পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের গলায়। একইসঙ্গে কাশ্মীরে তথ্যানুসন্ধানী দল পাঠানোর যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের হাইকমিশনার, তাকে স্বাগত জানিয়েছে পাকিস্তান।
দেশের বর্তমান নিরাপত্তা সংক্রান্ত পরিস্থিতি নিয়ে আজ মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকেন শরিফ। এরপরই শরিফ বলেন, এদেশের মানুষদের রক্ষার্থে এবং পাকিস্তানের অখণ্ডতা ধরে রাখতে সবরকম প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে সরকার। সীমান্তে যে কোনওরকম আগ্রাসনের মোকাবিলায় তৈরি তারা। তিনি বলেন, ভারতীয় আগ্রাসন গোটা উপমহাদেশকে বিপন্ন করে তুলেছে। ভৌগলিক অখণ্ডতা অক্ষুন্ন রাখতে সমস্তরকম ব্যবস্থা নেবে পাকিস্তান।পাকিস্তানও সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের জন্য প্রস্তুত। আমাদের মাতৃভূমি রক্ষা করার জন্য এদেশের সেনারাও কাঁধে কাঁধ দিয়ে লড়বে। প্রসঙ্গত, বুধবার গভীর রাতে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি লঞ্চ প্যাডে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালায় ভারতীয় সেনা বাহিনী। একের পর এক জঙ্গি শিবির ধ্বংস করে তারা। এর ঠিক একদিন বাদেই হুমকির সুর শোনা গেল শরিফের গলায়। শরিফ বলেন, ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে একজোট হয়েছে পাকিস্তানবাসী। পাকিস্তান শান্তি চায়, কিন্তু এটাকে যেন দুর্বলতা ভেবে ভুল করবেন না। কাশ্মীর ইস্যুও তোলেন শরিফ। বলেন, এটা দেশভাগের এক অসমাপ্ত অ্যাজেন্ডা। ভারতের নৃশংসতা কাশ্মীরিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার চূর্ণ করতে পারবে না।
উল্লেখ্য, উরি হামলায় ফের নিজেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করলেন শরিফ। এই ঘটনায় তাঁদের ‘দোষারোপ’ করা হচ্ছে, এরও নিন্দা করেন শরিফ। শুধু শরিফই নন, ভারতের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের দাবি উড়িয়ে দিয়েছে শরিফের মন্ত্রিসভাও। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাওয়াজা আসিফ বলেন, পাকিস্তান উত্তেজনা চায় না, কিন্তু যে কোনওরকম সম্ভাবনার জন্য তারা তৈরি। বাণিজ্যমন্ত্রী খুররম দাস্তগির বলেন, ভারত কৃত্রিম উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা করছে। তাঁরা কাশ্মীরিদের অধিকার খর্বের চেষ্টা করছে। আমরা সর্বদা কাশ্মীরিদের পক্ষেই সরব হব।