সিঙ্গাপুর: সিকিম সেক্টরে ভারত ও চিনা সেনার মধ্যে সংঘাতের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী বিদেশসচিব এস জয়শঙ্কর। তাঁর মতে, অতীতেও ভারত ও চিন সমস্যার সমাধান বের করতে সমর্থ হয়েছে। ফলে, এবারে যে তারা পারবে না, এমনটা মনে করার কোনও কারণ নেই।


ইন্ডিয়া-আসিয়ান অ্যান্ড দ্য চেঞ্জিং জিওপলিটিক্স শীর্ষক এক আলোচনাসভায় অংশ নিতে সিঙ্গাপুরে রয়েছেন বিদেশসচিব। সেখানেই তিনি বলেন, (ভারত-চিন) দীর্ঘ সীমান্ত। অথচ, তার কোনও অংশই মাটিতে টানা নেই। ফলে, সময়ে-সময়ে মতভেদ আসতেই পারে।


জয়শঙ্কর মনে করিয়ে দেন, এই প্রথম নয় যে ভারত ও চিনের মধ্যে সীমান্ত সমস্যা দেখা দিল। তিনি বলেন, অতীতে একাধিকবার এধরনের সমস্যার সমাধান করেছে দুই দেশ। তাই যখনই এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়, তখন মনে হয়, আগে যখন হাল বের হয়েছে, তখন কেন এবার হবে না।


প্রসঙ্গত, ভারত-ভুটান-চিন সীমান্ত লাগোয়া একফালি অঞ্চল—ডোকালামের আধিপত্য নিয়ে নয়াদিল্লি ও বেজিংয়ের মধ্যে গত একমাস ধরে জোর সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। চিনের অভিযোগ, ভুটানে তাদের সড়ক নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে ভারত।


ডোকালাম (ভারতের দেওয়া নাম ডোকা লা) অঞ্চলকে নিজেদের ডংল্যাং অঞ্চলের অংশ হিসেবে দাবি করে সেখান থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে নয়াদিল্লিকে বলে বেজিং। যদিও, চিনের সেই দাবি খারিজ করে ভারত জানিয়ে দেয়, ডোকালাম থেকে সেনা প্রত্যাহার করার কোনও প্রশ্নই নেই।


এদিন জয়শঙ্কর মনে করিয়ে দেন, পরিবর্তনশীল পরিস্থিতিতে ভারত-চিন সম্পর্কের প্রভাব যে আশিয়ান ও এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ওপর পড়বে, সেই নিয়ে দ্বিমত থাকার কথা নয়। তিনি বলেন, দুই পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র প্রতিবেশী হলে, কিছু জটিলতা তৈরি হতে বাধ্য।


বিদেশসচিবের মতে, ভারত-চিন সম্পর্ক এমন একটা বিস্তৃতি লাভ করেছে যে তাকে স্রেফ সাদা-কালো দিয়ে মাপা যাবে না। এই সম্পর্কের মধ্যে যেমন সুযোগ রয়েছে, তেমনই ঝুঁকিও রয়েছে। ফলে, পর্যালোচনায় কোনও এক পক্ষকে বলি দিয়ে অপরপক্ষকে সমর্থন করলে, ভুল হবে।