সোল: ফের পরমাণু বোমার পরীক্ষা চালাল উত্তর কোরিয়া। এ নিয়ে ষষ্ঠবার। যা এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে শক্তিশালী। পিয়ংইয়ং-এর দাবি, এটি হাইড্রোজেন বোমা ছিল।


দক্ষিণ কোরিয়ার আবহাওয়া দফতরের অনুমান, এদিন যে বোমাটির পরীক্ষা করা হয়েছে, তার ক্ষমতা ৫০-৬০ কিলোটনের মত। গত সেপ্টেম্বরে পঞ্চম পরমাণু পরীক্ষাটি ১০-১২ কিলোটন ক্ষমতাসম্পন্ন বোমা ছিল। সেইদিক দিয়ে, এদিনেরটি আগের পরীক্ষার চেয়ে অন্তত পাঁচগুণ বেশি শক্তিশালী।


উত্তর কোরিয় সংবাদমাধ্যমে এদিনের পরীক্ষাকে ‘সম্পূর্ণ সফল’ বলে উল্লেখ করা হয়। তাদের দাবি, এদিনের পরীক্ষায় দ্বিস্তরীয় থার্মোনিউক্লিয়ার অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। আরও বলা হয়, ওই অস্ত্রটি মারাত্মক শক্তিশালী।


এর কয়েক ঘণ্টা আগে অবশ্য হাইড্রোজেন বোমার উপস্থিতির কথা স্বীকার করে পিয়ংইয়ং। বলা হয়, শাসক দলের এক নেতা সম্প্রতি ইন্টার কন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইল (আইসিবিএম) বা আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রে ব্যবহার করার জন্য হাইড্রোজেন বোমার পর্যবেক্ষণ করেছেন।


দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক কর্তারা জানান, এদিন পরীক্ষাটি স্থানীয় সময় দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ উত্তর কোরিয়ার হ্যামইয়ং প্রদেশের কাছে হয়েছে। সোলের আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, ওই পরীক্ষার ফলে, সেখানে ৫.৭ তীব্রতার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। যদিও, মার্কিন ভূতত্ত্ববিদদের দাবি, কম্পনটি ৬.৩ তীব্রতার ছিল।


যদিও, এদিনের পরীক্ষায় হাইড্রোজেন বোমা ব্যবহার করা হয়েছিল বলে যে দাবি করেছে উত্তর কোরিয়া, তা ভুল না ঠিক তা প্রমাণ করা বর্তমানে বহির্বিশ্বের পক্ষে কঠিন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, এদিনের পরীক্ষায় কোনও তেজস্ক্রিয় বিকিরণ ধরা পড়েনি।


উত্তর কোরিয়ার এই পরীক্ষার পরই তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিভিন্ন দেশ। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইনের নেতৃত্বে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক ডাকে দক্ষিণ কোরিয়া।


পরীক্ষার তীব্র সমালোচনা করছে জাপান। তারা জানিয়েছে, এধরনের পরীক্ষা মেনে নেওয়া যায় না। সমালোচনা করেছে চিনও। যদিও, এখনও পর্যন্ত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।