সিওল: আফগানিস্তান ফের কব্জায় এনে তালিবানের নির্দয় সর্বগ্রাসী ব্যবস্থা চাপিয়ে দেওয়ার কথা সবারই জানা। কিন্তু এ ধরনেরই দমনমূলক শাসন উত্তর কোরিয়ায় গত কয়েক দশক ধরেই চলছে। বাকি বিশ্বের তুলনায় এখানে আইন-কানুন একেবারেই আলাদা। উত্তর কোরিয়ার শাসকদের কঠোর সিদ্ধান্ত অনেক সময়ই সারা বিশ্বকে চমকে দেয়। আর এরইমধ্যে এমন একটি ঘটনার খবর জানা গেছে, তা জানলে অবাক হয়ে যেতে হয়। একদল মালিকে লেবার ক্যাম্পে নির্বাসিত করলেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। অপরাধ গাছে ঠিক সময়ে ফুল ফোটেনি। গাছ লাগানো হয়েছিল। কিন্তু কিম জং উনের জন্মদিনের জন্য সেই গাছের ফুল ঠিক সময়ে ফোটেনি। এই সামান্য কারণেই অগ্নিশর্মা হয়ে মালিদের লেবার ক্যাম্পে পাঠিয়ে দিলেন উত্তর কোরিয়ার স্বৈর শাসক।
উত্তর কোরিয়ার শাসকের প্রয়াত বাবা কিম জং ইলের নামে সুন্দর ওই ফুলের নাম ‘কিমজঙ্গিলিয়া’। কিন্তু বাবার জন্মবার্ষিকীতে সেই ফুল পাওয়া যাবে না শুনেই এই কঠোর সিদ্ধান্ত কিম জং উন নিয়েছেন বলে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা গেছে।
জানা গেছে, কিমিলসুঙ্গিয়া ও কিমজঙ্গিলিয়া ফুল যেখানে হয়, সেই গ্রিনহাউসের ম্য়ানেজার হানকে লেবার ক্যাম্পে ছয় মাসের জন্য নির্বাসিত করা হয়েছে। ওই ফুলের সঠিকভাবে চাষের জন্য তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা একেবারে ঠিকঠাক হতে হবে। কিন্তু হান জ্বালানি কাঠের যোগান ঠিকমতো রাখতে পারেননি। ফলে সেই কাজে ঠিকমতো করা যায়নি। ১৬ ফেব্রুয়ারি কিম জং ইলের ছিল জন্মদিন। এই দিনের প্রধান উপকরণ এই ফুল।
সূত্র মারফৎ সংবাদমাধ্যম জানতে পেরেছে যে, আপৎকালীন রোগ নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত বিধিব্যবস্থার কারণে উত্তর কোরিয়ায় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। ফলে বহু কিমিলসুঙ্গিয়া ও কিমজঙ্গিলিয়া গ্রিনহাউসের কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটেছে। কিন্তু বলা হয়েছিল যে, ওই ফুল অবশ্যই ফোটাতে হবে অনুষ্ঠানের জন্য। কিন্তু হান তা করতে পারেননি। জানা গেছে, হানের সঙ্গে অন্যান্য কর্মীদেরও একইভাবে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।