নয়াদিল্লি: চিনকে পাল্টা ভারতের। ভারতকে এলিট নিউক্লিয়ার সাপ্লায়ার্স গ্রুপের (এনএসজি) সদস্য করার প্রয়াসের ব্যাপারে চিন মূল স্রোতের উল্টোদিকে হাঁটছে বলে বিদায়ী ওবামা প্রশাসনের শীর্ষ প্রতিনিধির মন্তব্যে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়ে বেজিং বলেছিল, ওয়াশিংটন যেন এটা মনে না করে যে, এনএসজি সদস্যপদটা 'বিদায়ী গিফট বা উপঢৌকন' যা সদস্য দেশগুলি কাউকে দিতে পারে।

এলিট এনএসজি-তে দীর্ঘদিন ধরেই ভারতের ঢোকার দাবিতে বাগড়া দিচ্ছে চিন। ভারত পরমাণু প্রসার রোধ চুক্তিতে (এনপিটি) সই করেনি, এই যুক্তি খাড়া করে ভারতের দাবির বিরোধিতা করছে তারা, যদিও ওই আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য দেশই এই ইস্যুতে ভারতের পাশে।

দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া সংক্রান্ত মার্কিন সহকারী বিদেশসচিব নিশা দেশাই বিশওয়াল বলেছিলেন, স্পষ্ট বলতে হলে একটিই দেশ, মানে চিন উল্টো পথে হাঁটছে। জবাবে চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চ্যুনিং সাংবাদিক সম্মেলনে মন্তব্য করেন, ভারতের এনএসজি সদস্যপদের আবেদন, এনপিটি-র বাইরের দেশগুলিকে এনএসজি-তে নেওয়ার প্রশ্নে আমাদের অবস্থান আগেই জানিয়ে দিয়েছি, তার পুনরাবৃত্তি করছি না। শুধু এটাই বলার যে, এনএসজি সদস্যপদ ভারতকে আমেরিকার 'বিদায়ী পুরস্কার' হতে পারে না।
এদিন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বিকাশ স্বরূপ চিনা মুখপাত্রের মন্তব্যের জবাবে বলেন, ভারত এনএসজি সদস্যপদ উপহার চাইছে না, পরমাণু প্রসার রোধে তার নিজের রেকর্ডের ভিত্তিতেই দাবি করছে।
প্রসঙ্গত,  এনপিটি চুক্তিতে স্বাক্ষর না করা দেশগুলিকে এনএসজির সদস্যপদ দেওয়ার ইস্যুতে দুটি ধাপ পূরণ করার কথা বলছে চিন। তাদের প্রস্তাব, এনপিটি-তে না থাকা সব দেশের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা যায়, এমন সমাধানসূত্র বের করতে হবে। তারপর কোনও নির্দিষ্ট দেশকে এনএসজি-র সদস্য করার ব্যাপারে আলোচনা হোক।
ভারত একা নয়, পাকিস্তানও এনএসজি-তে ঢুকতে চায়। সে ব্যাপারে তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছে চিন।