লন্ডন: এক ওয়েবসাইটের প্রধানকে সম্প্রতি ‘ব্রিটেনের সেরা মালিক’-এর উপাধি দেওয়া হয়েছে। কারণ, তিনি তাঁর কর্মীদের জন্য আস্ত একটি প্রাসাদোপম দফতর তৈরি করেছেন। শুধু তাই নয়, সব কর্মীরা দফতরের মধ্যেই সিনেমা দেখার সঙ্গে নিখরচায় সুরাও পাবেন!


খবরে প্রকাশ, মানি ডট কো ডট ইউকে-র প্রতিষ্ঠাতা ক্রিস মর্লিং তিন মিলিয়ন পাউন্ড (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৩০০ কোটি টাকা) ব্যয় করে ওই দূর্গ সদৃশ দফতর নির্মাণ করিয়েছেন।


কিন্তু কেন? জানা গিয়েছে, মর্লিংয়ের ইচ্ছা ছিল, নিজের দফতরে কর্মরত প্রায় জনা পঞ্চাশ কর্মীকে সবসময় ‘আপ্যায়নের মাধ্যমে নিযুক্ত’ করে রাখতে।  যাতে, ব্যবসায় আখেরে লাভ হয়। এমনই ভাবনা থেকে পূর্ব গ্লস্টারশায়ারে ওই বিশালকায় দফতর নির্মাণ করান।


কী কী আছে ওই দফতরে? বা বলা ভাল কী নেই! এই দফতরের মধ্যে রয়েছে একটি জিমন্যাসিয়াম, যোগব্যয়ামের স্টুডিও। রয়েছে নিনেমা দেখার জন্য স্টার-ওয়ার্স থিমের হল। কর্মীরা বিনামূল্যে সপ্তাহের খেলা দেখার সুযোগও পাবেন। আর যখন কর্মীদের পাশে নিয়ে খেলা দেখবেন খোদ মালিক, তখন আর পরোয়া কিসের!


শুধু বর্তমান কর্মীরা নয়, ভবিষ্যত কর্মীদের বিষয়েও যে তাঁকে সমান গুরুত্ব দিতে হবে, তাও বিলক্ষণ জানেন মর্লিং। তাই তিনি তাঁদের জন্য বিভিন্ন ভাতার ঘোষণা করেছেন মর্লিং। যেমন বিভিন্ন মিটিংয়ের জন্য তৈরি করা হয়েছে আইস কেভ, স্কি লজ, অথবা কেতাদুরস্ত গ্রন্থাগার।


এমনকী, শৌচাগারেও সঙ্গীতের একটা আবহ রাখা হয়েছে। সেখানে দেওয়ালে রোলিং স্টোনস বা স্টিম পাঙ্ক-এর বিভিন্ন ছবি চিত্রিত রয়েছে।


কর্মীরা যদি কাজের মধ্যে ক্ষুধার্ত হয়ে পড়েন, তাহলে রান্নাঘরে বিনামূল্য প্রাতঃরাশ তৈরি। এছাড়া রয়েছে পিনবল মেশিন, প্লে স্টেশন ৪, পুল টেবিল এবং একটি ফুটবল টেবিল।


শুক্রবার কাজ আগে শেষ হলে কর্মীরা দফতরেই বিয়ার-পার্টিতে মেতে উঠতে পারেন। প্রতিমাসে একটি করে সোশ্যাল নাইট-এর ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।য এছাড়া, কর্মীরা নিজেদের মনোমত শিফটও বাছতে পারেন।


এখানেই শেষ নয়। কর্মীদের অবকাশের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফ্লোরিডা, নিউইয়র্ক, বুদাপেস্ট, ডুভরোনিক এবং কোপেনহেগেনে কর্মীদের ছুটি কাটানোর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সব খরচ যে সংস্থা বহন করবে তা বলাই বাহুল্য।


এরপরও কর্মীদের বছরে ৫ লক্ষ পাউন্ড (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৫ কোটি) বেতন দেন মর্লিং। তিনি বলেন, আপনি কর্মজীবনের অর্ধেকটা অফিসে কাটান। তাই আমি একন একটা দফতর দিতে চেয়েছি, যা সকলকে অনুপ্রাণিত করে। একইসঙ্গে, দফতরের পরিবেশ যাতে কর্মীদের মধ্যে কাজের প্রতি ভালবাসা আনতে পারে, সেটাও মাথায় রাখা হয়েছে।


দেখুন সেই দফতরের ঝলক:
















 ছবি সৌজন্য: মানি.কো.ইউকে ওয়েবসাইট