ওয়াশিংটন: পরমাণু সরবরাহকারী গোষ্ঠী (এনএসজি)-তে ভারতের সদস্যপদ লাভের সম্ভাবনা কিছুটা উজ্জ্বল হল। এনএসজি-র সদস্য দেশগুলিকে চলতি মাসের গোড়ায় একটি নয়া খসড়া প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই প্রস্তাব কার্যকর হলে ৪৮ সদস্যের এই এলিট ক্লাবে ভারতের অন্তর্ভূক্তির পথ প্রশ্বস্ত হবে। যদিও আমেরিকার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার কার্যকালের মধ্যে এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। ভারতকে এনএসজি-র পূর্ণ সদস্য দেশ করার যে উদ্যোগ আমেরিকা নিয়েছে তা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভার এখন ট্রাম্প প্রশাসনের ওপর। কারণ, বারাক ওবামার প্রেসিডেন্ট পদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২০ জানুয়ারি। তার আগে মোদী সরকারকে দেওয়া ওবামার প্রতিশ্রুতি পূরণের সম্ভাবনা নেই। যদিও এ বিষয়ে আমেরিকার নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করেনি। তবে ট্রাম্পের ট্রান্জিশিন টিমের সঙ্গে পদস্থ ভারতীয় আধিকারিকদের প্রাথমিক আলোচনায় বিষয়টি উঠেছিল বলে মনে করা হচ্ছে।


ভারত ও পাকিস্তানের মোতে পরমাণু অস্ত্র প্রসার রোধ চুক্তি (এনপিটি)-তে স্বাক্ষর করেনি, এমন দেশগুলিকে এনএসজি-র সদস্যপদ দান সংক্রান্ত খসড়া প্রস্তাব পেশ করেছেন সংগঠনের প্রাক্তন চেয়ার মারিয়ানো গ্রোসি। এনএসজি-র বর্তমান চেয়ার দক্ষিণ কোরিয়ার হয়ে ওই খসড়া তৈরি করেছেন তিনি। ভারতকে এনএসজি সদস্য করা ও ভারত-মার্কিন পরমাণু চুক্তির কট্টর বিরোধী ওয়াশিংটনের থিঙ্ক ট্যাঙ্ক আর্মস কন্ট্রোল অ্যাসোসিয়েশন (এসিএ)সূত্রের খবর, খসড়া প্রস্তাবে ভারত ও পাকিস্তানের মতো নন-এনপিটি দেশগুলির জন্য নয়টি সাধারণ দায়বদ্ধতার রফাসূত্রের কথা বলা হয়েছে। এভাবে এনএসজি-র সদস্য হওয়ার মাপকাঠি শিথিল করার চেষ্টার সমালোচনা করে এসিএ-র ডারিল  জি কিম্ববল বলেছেন, ওই প্রস্তাব রূপায়িত হলে ভারতের এনএসজি-র সদস্যপদ লাভের পথ সুগম হয়ে যাবে। কারণ, প্রস্তাবিত মাপকাঠিগুলি ইতিমধ্যেই পূরণ করে ফেলেছে নয়াদিল্লি। যদিও পাকিস্তানের পরিপ্রেক্ষিতে ওই মাপকাঠিগুলি পূরণ করা হয়নি। ফলে ওই খসড়া গৃহীত বলে ভারত এনএসজি-র সদস্য পদ লাভের যোগ্য হলে পাকিস্তানের কাছে তা অধরাই থেকে যেতে পারে।  চলতি মাসে ভিয়েনায় এনএসজি-র সদস্যদেশগুলি এই প্রস্তাব নিয়ে ঘরোয়া আলোচনা করেছে।