সিডনি: মসজিদে প্রার্থনারত লোকজনের ওপর গুলিবর্ষণকারী বন্দুকধারী অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্বধারী দক্ষিণপন্থী সন্ত্রাসবাদী। গভীর শোক, আতঙ্ক, উদ্বেগের মধ্যে এ কথা জানালেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। প্রতিবেশী দেশ নিউজিল্যান্ডে নজিরবিহীন নৃশংসতার সাক্ষ্য দেওয়া দুটি মসজিদে নির্বিচারে গুলিবর্ষণে মৃতের সংখ্যা আপাতত বেড়ে হয়েছে ৪০। জখম ২০-র বেশি। ঘটনার বেশ কয়েক ঘন্টা কেটে যাওয়ার পর সাংবাদিক সম্মেলনে মরিসন বলেন, এক কট্টরপন্থী, দক্ষিণপন্থী, হিংস্র সন্ত্রাসবাদীর চালানো এই হামলার তীব্র নিন্দা করছি আমরা সকলে। দক্ষিণ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের প্রধান মসজিদে প্রার্থনায় বসা ভক্তদের গুলিবৃষ্টি চালিয়ে মেরে ফেলার নায়ক যে অস্ট্রেলিয়ায় জন্মানো সে দেশের নাগরিক, এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন তিনি। যদিও তার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করতে চাননি মরিসন, জানিয়েছেন যে, অস্ট্রেলিয়ার নিরাপত্তা সংক্রান্ত কর্তৃপক্ষ ক্রাইস্টচার্চের হামলায় অস্ট্রেলিয়ার যোগসাজশ আছে কিনা, খতিয়ে দেখছে।
নিউজিল্যান্ড পুলিশ মসজিদে হামলার ব্যাপারে তিন পুরুষ, এক মহিলাকে আটক করার কথা জানিয়েছে। যদিও তাদের পরিচয় প্রকাশ করেনি।
সাংবাদিক বৈঠকে পড়শী দেশের রক্তাক্ত হওয়ার ঘটনায় রীতিমতো আবেগে গলা বুজে আসে মরিসনের। সহানুভূতির সুর ছিল তাঁর গলায় যখন তিনি বলেন, আমরা শুধু শরিক, মিত্রই নই, একই পরিবার। এমন এক বিপদ, শয়তান যে আমাদের মধ্যেই রয়েছে, সেটা বড় ভয়াবহ ভাবে মনে করিয়ে দিল ঘটনাটি।
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দা আর্ডেনও বলেছেন, সন্ত্রাসবাদী হামলাই যে ঘটেছে, তা এখন স্পষ্ট বলা যায়। যেটুকু বুঝতে পারছি, একেবারে পরিকল্পনামাফিক ছক কষে হামলা করা হয়েছে। দুটি বিস্ফোরক লাগানো সন্দেহজনক গাড়ির হদিশ মিলেছে। সেগুলি নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।