নয়া দিল্লি : ওমিক্রন নিয়ে বিশ্বজুড়ে নতুন করে আতঙ্কের মধ্যেই আশার কথা শোনালেন দক্ষিণ আফ্রিকার চিকিৎসক অ্যাঞ্জেলিক কোয়েজ। তিনিই প্রথম তাঁর রোগীদের মধ্যে এই ভ্যারিয়েন্টের হদিশ পান। কিন্তু, আক্রান্তদের মধ্যে মৃদু উপসর্গ দেখা যাচ্ছে এবং হাসপাতালে ভর্তি না করেই সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেছেন বলে জানান তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকা মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান অ্যাঞ্জেলিক কোয়েজ। তিনি জানান, গত ১০ দিনে তিনি প্রায় ৩০ জন রোগীকে দেখেছেন যাঁরা করোনায় আক্রান্ত। কিন্তু, তাঁদের উপসর্গগুলো একটু অচেনা ছিল। চূড়ান্ত ক্লান্তি দেখা যাচ্ছে আক্রান্তদের মধ্যে। যা অল্পবয়সি রোগীদের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক নয়। অধিকাংশ রোগীরই বয়স ৪০ বছরের কম এবং পুরুষ। এর মধ্যে ৫০ শতাংশের কমজনের টিকাকরণ হয়েছে।
ওমিক্রনে যে উপসর্গগুলো দেখা যাচ্ছে-
অ্যাঞ্জেলিক কোয়েজ BBC Sunday-কে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রে যে উপসর্গগুলো দেখা যাচ্ছে তা একেবারে মৃদু। ৩৩ বছরের এক পুরুষ রোগীকে দিয়ে এটা শুরু হয়েছে। ওই রোগী তাঁকে জানান, গত কয়েকদিন ধরে তিনি চূড়ান্ত ক্লান্ত বোধ করছিলেন। শরীরে যন্ত্রণা হচ্ছিল, তার সঙ্গে মাথায় ব্যথা। এছাড়া পেশীতেও মৃদু ব্যথা ছিল। শুকনো কাশি। আর কয়েকজনের শুধু উচ্চমাত্রায় জ্বর থেকেছে।
গত ১৮ নভেম্বর, তাঁর ৩০ জন রোগীর মধ্যে সাত জনকে এই ভ্যারিয়ন্টে আক্রান্ত হিসেবে পান। সঙ্গে সঙ্গে তিনি স্বাস্থ্য আধিকারিকদের জানান। বলেন, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সঙ্গে এই ভ্যারিয়েন্টের মিল পাওয়া যাচ্ছে না। এএফপি সূত্রে এমনই খবর। এরপরই দক্ষিণ আফ্রিকার বিজ্ঞানীরা ২৫ নভেম্বর নতুন ভ্যারিয়েন্টের হদিশ মেলার কথা ঘোষণা করেন। যার জেরে দক্ষিণ আফ্রিকার ওপর ট্রাভেলে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা হয়।
এদিকে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টকে চূড়ান্ত বিপজ্জনক ভ্যারিয়েন্ট ঘোষণা করা হয়েছে। যার নাকি একাধিক মিউটেশন হচ্ছে। তবে, এতে আপত্তি রয়েছে অ্যাঞ্জেলিক কোয়েজের। তাঁর মতে, এটা দুর্ভাগ্যজনক। কারণ, এই ভ্যারিয়েন্টের তীব্রতা এখনও জানা যায়নি।