নয়াদিল্লি:বিক্ষোভে অগ্নিগর্ভ পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মুজফফরাবাদ। বিক্ষোভকারীদের ওপর পাক পুলিশের নির্বিচারে লাঠিচার্জ ও গুলি বর্ষণে নিহত দুই, জখম আশি জন। এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহলে ফের মুখ পুড়ল পাক সেনা ও সরকারের। সেখানে কোনও জঙ্গি ঘাঁটি নেই এবং গত রবিবার ভারতীয় সেনার হামলায় কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে দেখাতে কয়েকজন বিদেশী কূটনীতিককে নিয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। পাক সেনা ওই বিদেশী কূটনীতিকদের পাক অধিকৃত কাশ্মীরে নিয়ে যায়। এরইমধ্যে স্বাধীনতার দাবিতে মুজফফরাবাদে স্থানীয় বাসিন্দারা বড়সড় প্রতিবাদ কর্মসূচী হাতে নিয়ে পথে নামেন। পাকিস্তানের বেআইনি দখলদারির বিরুদ্ধে গতকাল সোমবার রাত থেকেই এই বিক্ষোভ শুরু হয়। প্রচুর সংখ্যক মানুষ পথে নেমে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও পাক সেনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।
অল ইন্ডিপেনডেন্ট পার্টিস অ্যালায়েন্স (এআইপিএ)-র মঞ্চে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ২২ অক্টোবর মুজফফরাবাদে স্বাধীনতার দাবিতে মিছিলের ডাক দিয়েছিল। উল্লেখ্য, ১৯৪৭-এ এই দিনটিতেই জম্মু ও কাশ্মীরে হানাদারি চালিয়েছিল পাক বাহিনী। পাক অধিকৃত কাশ্মীর ও গিলগিট-বাল্টিস্তানের মানুষ এই দিনটিকে কালো দিবস আখ্যা দিয়ে ওই অঞ্চল থেকে পাকিস্তানের অবিলম্বে সরে যাওয়ার দাবি জানান।




বিক্ষোভকারীদের নিরস্ত করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে এবং নির্বিচারে লাঠি চালায় বলে জানা গেছে।  পুলিশ বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে গুলিও চালায়। এতে দুজনের মৃত্যু হয়। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট ট্যুইটারে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মুজফফরাবাদের এই বিক্ষোভের প্রচুর ছবি ও ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে।

উল্লেখ্য, ভারতের সেনা প্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত রবিবার জানিয়েছিলেন, ভারতীয় জওয়ানদের পাল্টা আক্রমণে জম্মু ও কাশ্মীরের তংধার ও কেরান সেক্টরের ওপারে ছয় থেকে দশ জন পাক সেনার মৃত্যু হয়েছে এবং তিনটি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।