জিয়ামেন: সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বিশাল কূটনৈতিক সাফল্য পেল ভারত। জিয়ামেনে সরাসরি নাম করে পাকিস্তানে লালিতপালিত লস্কর-ই-তৈবা, জয়েশ-ই-মহম্মদের মতো গোষ্ঠীর কার্যকলাপে গভীর উদ্বেগ জানিয়ে তাদের মোকাবিলায় স্পষ্ট পদক্ষেপের কথা বলা হল ব্রিকস সম্মেলনে, যা মঞ্চের এতদিনের ইতিহাসে এই প্রথম।

তালিবান, আল কায়েদা, আইসিসের সন্ত্রাসেও উদ্বেগ প্রকাশ করে নবম ব্রিকস সম্মেলনের ঘোষণাপত্রে সব রাষ্ট্রকে তাদের মাটি থেকে সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করা ও সন্ত্রাসের পিছনে আর্থিক মদত বন্ধ করার ডাকও দেওয়া হয়।

ভারত, চিন, রাশিয়া, ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিয়ে তৈরি এই গোষ্ঠী প্রকৃত অর্থে বড় সন্ত্রাসবাদ বিরোধী একটি আন্তর্জাতিক জোট গঠনের প্রস্তাবও দিয়েছে গোটা দুনিয়াকে।

নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে একসুরেই চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট মাইকেল তেমের ও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট জেকব জুমা একযোগে সন্ত্রাস মোকাবিলায় সম্মতি দেন।



পাশাপাশি সম্মেলনে জারি করা বিবৃতিতে তাঁরা যেখানেই হোক, যে-ই করুক, সব ধরনের সন্ত্রাসবাদই নিন্দনীয়, কোনও রকমের সন্ত্রাসের পিছনেই বৈধতা, যুক্তি থাকতে পারে নাবলে জানান। সেইসঙ্গে বলেন, আমরা জোর দিয়েই বলছি, যারা কার্যকলাপে জড়িত, তার আয়োজন করে বা তা সমর্থন করে, মদত দেয়, তাদেরও এর দায় নিতে হবে। অর্থাত ঘুরিয়ে পাকিস্তানের দিকেই আঙুল তোলা হল বলে মনে করা হচ্ছে।

সব ব্রিকসভুক্ত নেতাই তাঁদের ভাষণে সন্ত্রাসবাদের ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন বলে জানান ভারতের বিদেশমন্ত্রকের সচিব (পূর্ব) প্রীতি সরন। ব্রিকস নেতাদের নিজেদের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে ভারতের অবস্থান জানিয়ে মৌলবাদ থেকে মুক্তির ব্যাপারে সম্মেলন বসানোর প্রস্তাব দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।