ইসলামাবাদ: ইফতারের আগেই খেয়ে নেওয়ার অভিযোগে ৮৫ বছরের সংখ্যালঘু বৃদ্ধকে মেরে রক্তাক্ত করে গ্রেফতার হয়েছেন পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের এক পুলিশ কনস্টেবল ও তার ভাইকে। কিন্তু গোকুল দাস নামে ওই বৃদ্ধের পরিবারকে এখন চাপ দেওয়া হচ্ছে যাতে তিনি ওই কনস্টেবল, তার ভাইকে ক্ষমা করে দেন, যা হয়েছে তা ভুলে যান! এমনই খবর প্রকাশিত হয়েছে ‘দি এক্সপ্রেস ট্রিবিউন’-এ।

গোকুল দাসের ছেলে গোবিন্দ রাম জানিয়েছেন, অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবলের তরফে এলাকার পঞ্চায়েতের মাধ্যমে স্থানীয় জনা কুড়ি লোক তাঁদের কাছে এসে আইন-আদালতের বাইরে ব্যাপারটা মিটমাট করে নেওয়ার প্রস্তাব দেয়। গোটা বিষয়টি ভুলে গিয়ে ওদের ক্ষমা করে রেহাই দিন, বৃদ্ধকে বোঝায় তারা। তবে গোকুল দাসের পরিবার এতে রাজি হয়নি। গোবিন্দ রাম জানান, আরও আগে এলে হয়ত কিছু করা যেত, কিন্তু দেরি হয়ে গিয়েছে। মামলা দায়ের হয়েছে। এখন আদালতেই মীমাংসা হবে। তিনি বলেন, স্থানীয় পুলিশ সুপার মাসুদ বাঙ্গাস এ ব্যাপারে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি আমাদের কথা দিয়েছেন, ন্যায়বিচার হবে।
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ সিন্ধের ঘোটকি জেলার প্রত্যন্ত হায়াত পিতাফি গ্রামের বাসিন্দা ওই বৃদ্ধ কয়েকদিন আগে কারও দান হিসাবে দেওয়া বিরিয়ানি ইফতারের আগেই খেয়ে নেওয়ায় তাঁকে মারধর করেন আলি হাসান হায়দরানি নামে ওই কনস্টেবল ও তাঁর ভাই। রক্তে ভেসে যান তিনি। সেই ছবি সোস্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই সরব হন মানবাধিকার কর্মীরা। দাবি ওঠে, কড়া সাজা চাই ওই দুজনের।