লন্ডন: ব্রিটেনগামী এমিরেটস বোয়িং ৭৭৭ বিমানে আচমকা ‘আল্লাহ-আকবর’ বলে চিত্কার করে সহযাত্রীদের সন্ত্রস্ত করে তোলায় দশ সপ্তাহ কারাদণ্ড হল পাকিস্তানি-বংশোদ্ভূত এক ব্যক্তির। নাম শেহরাজ সারওয়ার। ঘটনাটি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির। দুবাই থেকে বার্মিংহাম যাচ্ছিল বিমানটি।


বার্মিংহাম ক্রাউন কোর্টে সরকারি কৌঁসুলি অ্যালেক্স ওয়ারেন বলেন, উড়ানের সময় বিমানটি মারাত্মক উথাল-পাথাল পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছিল। যাত্রীরা ভয়ে গুটিয়ে গিয়েছিলেন। তার মধ্যেই খুব জোরে ‘আল্লাহ আকবর’ বলে চিত্কার করতে থাকেন অভিযুক্ত। বাকি যাত্রীরা তাঁর আচরণে প্রবল অস্বস্তিতে পড়েন। বিমানটি শেষ পর্যন্ত অবতরণ করে। তিনি ‘বুম’ বলে চেঁচিয়ে ওঠেন। কয়েকজন যাত্রী আতঙ্কে কেঁদে ফেলেন। পুলিশ ডেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করানো হয়।

বার্মিংহাম মেল-এর খবর, অতীতে সারওয়ারৃ হিংসা, অসত্ আচরণের জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন, আদালতকে তাও জানান ওয়ারেন। বিচারপতি ফ্রান্সিস লেয়ার্ড ৩৮ বছর বয়সি সারওয়ারকে চলন্ত উড়ানে ‘ঔদ্ধত্য আচরণে’র জন্য তিরস্কার করেন। বলেন, বর্তমানে যে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট রয়েছে, তাতে বিমানে উঠে বারবার ‘আল্লাহ আকবর’ বলায় কিছু যাত্রীর মধ্যে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। বিমানে এ ধরনের ঘটনা খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়। সব দিক বিচার করে আপনাকে ১০ সপ্তাহ কারাদণ্ড দেওয়া ছাড়া কোনও উপায় নেই।

সারওয়ারের কৌঁসুলি জানান, পাকিস্তানে ঠাকুমার শেষকৃত্য থেকে ফেরার সময় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন সারওয়ার। উড়ানে তিনিও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তিনি ‘আল্লাহ আকবর’ বলে প্রার্থনা করেন। যার অর্থ, সর্বশক্তিমান মহান। বিমান মাটি ছোঁওয়ার পর ‘বুম’ বলে চেঁচিয়ে ওঠা বোকার মতো কাজ হয়েছে। নিজের আচরণে তিনি লজ্জিত এবং সহযাত্রীদের যে কী সমস্যায় ফেলেছিলেন, তাও বুঝতে পেরেছেন সারওয়ার।তবে সে কথায় গুরুত্ব না দিয়ে বিচারপতি সারওয়ারকে জানিয়ে দেন, কারাবাস শেষ হলে ছাড়া পাওয়ার পরও ১২ মাস তার ওপর নজরদারি থাকবে।