ইসলামাবাদ: পাকিস্তানের পার্লামেন্ট কাশ্মীর সম্পর্কে সর্বসম্মত প্রস্তাব গ্রহণ করে ভারতের সঙ্গে সংঘাতে নয়ামাত্রা  যোগ করল। পাক পার্লামেন্টে কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার নিন্দা করে রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার কমিশনের উপত্যকায় তথ্য-অনুসন্ধানী দল পাঠানোর দাবি জানিয়ে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। এই প্রস্তাবের মাধ্যমে ভারতের অভ্যন্তরীন বিষয়ে ফের নাক গলালো পাকিস্তান।

পার্লামেন্টের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ৩৪ তম অধিবেশনে গৃহীত প্রস্তাবে কাশ্মীরীদের প্রতি সমর্থনও জানানো হয়েছে। গতকাল রাতে বিস্তর আলোচনার পর যে প্রস্তাব পাস হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে,  ‘সম্প্রতি ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী নিরীহ কাশ্মীরীদের ওপর যে অত্যাচার চালাচ্ছে পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি তার তীব্র নিন্দা করছে’।

প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, ‘ছররা বন্দুকের ব্যবহার নিন্দনীয় এবং তা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের পরিপন্থী’। আন্তর্জাতিক আইনের এ হেন লঙ্ঘন স্বত্ত্বেও জম্মু ও কাশ্মীরের 'নিপীড়িত' জনগনের ‘আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার’ অর্জনের ‘আন্দোলন’ দমন করা যাবে না বলেও মন্তব্য করে পাক ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি।

কাশ্মীরের এই সংগ্রামে পাকিস্তান রাজনৈতিক, নৈতিক ও কূটনৈতিক সমর্থন দিয়ে যাবে বলেও প্রস্তাবে বলা হয়েছে।

কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বন্ধে ভারতের ওপর চাপ বাড়াতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলিকে সক্রিয় হওয়ায় আর্জি জানাতে পাক সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে প্রস্তাবে।

উল্লেখ্য, হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গি বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর কাশ্মীরে অশান্তি ছড়িয়েছে।  পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ আগেই কাশ্মীর প্রসঙ্গে প্ররোচনাকর মন্তব্য করেছেন। পাক সরকার বুরহানকে ‘শহীদ’ তকমা দিয়ে ‘কালা দিবস’ পালন করেছে। সক্রিয় পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর মদতপুষ্ট জঙ্গিরাও। মুম্বই হামলার মূল চক্রী হাফিজ সইদ অবাধে পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থান ঘুরে ভারতের বিরুদ্ধে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি, প্রকাশ্য সভায় কাশ্মীরে জঙ্গিদের পাঠানোর কথাও স্বীকার করছে।

এবার পাক পার্লামেন্টের কাশ্মীর প্রস্তাব ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও তলানিতে নিয়ে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।