ইসলামাবাদ: প্রথম সরকারি আমেরিকা সফর শেষে দেশে ফিরে সমর্থক, অনুগামীদের বিপুল অভ্যর্থনা পেলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। বৃহস্পতিবার সকালে কাতার এয়ারলাইন্সের বিমানে রাজধানীর নতুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পা রাখতেই সেখানে আগে থেকে হাজির সমর্থকরা গলা ফাটিয়ে তাঁর হয়ে স্লোগান দেন। ইমরান তাঁদের সামনে সংক্ষিপ্ত ভাষণে বলেন, মনে হচ্ছে, কোনও সরকারি সফর নয়। বিশ্বকাপ জিতে ঘরে ফেরার অনুভূতি হচ্ছে। গত বছরের ২৫ জুলাই নির্বাচনে জেতার বর্ষপূর্তির দিনেই তিনদিনের আমেরিকা সফর শেষে দেশে ফিরলেন তিনি। ইমরান বলেন, কতগুলি চোর, যারা শুধু পাকিস্তানকে লুঠ করতে চায়, সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে। সেগুলিকে নতুন চেহারা দিতে চাই আমরা।
আমেরিকার সঙ্গে ভাঙা সম্পর্ক নতুন করে চাঙ্গা করাই ইমরানের মার্কিন সফরের উদ্দেশ্য ছিল। গত সোমবার হোয়াইট হাউসে তাঁর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে নানা বিষয়ে বিস্তারিত কথা হয়। মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পিওর সঙ্গেও কথা বলেন তিনি।
আমেরিকা থেকে ইসলামাবাদ ফেরার পথে দোহায় কিছুক্ষণের জন্য নেমে কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ আবদুল্লা বিন নাসের বিন খলিফা আল থানিক সঙ্গেও দেখা করেন ইমরান।
‘চোর ডাকাতদের’ লুঠ করে বিদেশে সঞ্চয় করা সম্পদ দেশে ফেরাতে পাকিস্তানকে সাহায্য করতে তিনি আমেরিকা ও অন্য পশ্চিমি দেশগুলিকেও আহ্বান জানিয়েছেন বলে জানান ইমরান। এও বলেন, তিনি কারও সামনে মাথা ঝুঁকিয়ে দেশকে হতাশ করবেন না কখনও। ইমরান বলেন, সেদিন আর বেশি দূরে নয়, যখন গোটা দুনিয়া সবুজ পাসপোর্টকে সম্মান করবে, পাকিস্তান বিশ্বের সামনে বিরাট দেশ হয়ে উঠবে।
পাকিস্তান মিডিয়ায় বলা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ইমরানের মার্কিন সফর তাঁর ও পাকিস্তানের পক্ষে একটা ‘কূটনৈতিক অভ্যুত্থান’ ঘটিয়েছে। যদিও ইমরান জালিয়াতি করে নির্বাচনে জিতেছেন, অভিযোগে দেশব্যাপী প্রতিবাদ, বিক্ষোভ চালাচ্ছে বিরোধী দলগুলি।