ইসলামাবাদ: ভারতে যে কী পরিমাণ বিদ্বেষ আর অসহিষ্ণুতা ছেয়ে ফেলেছে, মহম্মদ আলি জিন্নার ছবি বিতর্ক তার জলজ্যান্ত প্রমাণ। আর এই বিদ্বেষ ও অসহিষ্ণুতার সবটাই পাকিস্তান ও মুসলমানদের প্রতি। ওপর পড়া হয়ে জিন্না বিতর্কে এই মন্তব্য করল পাকিস্তান।


তাদের বিদেশ মন্ত্রক গতকাল বলেছে, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের ছাত্র সংগঠনের সব আজীবন সদস্যের ছবি বরাবরই টাঙানো রয়েছে। সেই হিসেবে জিন্নার ছবিও রয়েছে ১৯৩৮ থেকে। অথচ এরপরেও বর্তমান সরকারের এক নেতা ছবি সরানোর যে দাবি করেছেন, তা ভারতের ক্রমবর্ধমান অসহিষ্ণুতা, বিদেশিদের সম্পর্কে আতঙ্ক ও বিশেষ করে মুসলমান আর পাকিস্তান সম্পর্কে বিদ্বেষের প্রমাণ। ভারতের পক্ষেও এই মনোভাব অত্যন্ত বিপজ্জনক। এর ফলে প্রমাণ হচ্ছে, সরকারের সমর্থন পেয়ে ভারতে ধর্মীয় গোঁড়ামি মারাত্মকহারে বেড়েছে।

এখানেই থামেনি পাক বিদেশ মন্ত্রক। তাদের দাবি, তাদের দেশ সহিষ্ণুতার পরাকাষ্ঠা, ইসলামাবাদ মনুমেন্ট মিউজিয়ামে মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধীরও ছবি, মূর্তি রয়েছে। অথচ ভারতের ছবি ঠিক উল্টো। পাশাপাশি কাশ্মীরে ভারতীয় সেনার ভূমিকারও কড়া সমালোচনা করেছে তারা, আন্তর্জাতিক দুনিয়াকে অনুরোধ করেছে, এ ব্যাপারে নীরবতা ভঙ্গ করতে।