ইসলামাবাদ: সৈয়দ আলি শা গিলানি, ইয়াসিন মালিক সহ কাশ্মীরের সব জেলবন্দি বিচ্ছিন্নতাবাদী হুরিয়ত নেতার মুক্তি চাইল পাকিস্তান। পাক বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র নাফিস জাকারিয়ার সওয়াল, ওঁরা আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের দাবিতে ‘শান্তিপূর্ণ সংগ্রাম’ করেছেন মাত্র! তিনি বলেছেন, রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত সংশ্লিষ্ট প্রস্তাবে দেওয়া প্রতিশ্রুতি মতো আত্মনিয়ন্ত্রণের দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করা কাশ্মীরীদের নেতাদের আটক বা গ্রেফতারির  নিন্দা করছে পাকিস্তান। আমরা ভারতকে বলছি, শৃঙ্খলাহীন জন নিরাপত্তা আইনে অভিযুক্ত হাজার হাজার রাজনৈতিক বন্দিকে ছেড়ে দেওয়া হোক।

নাফিসের অভিযোগ, শরীর-স্বাস্থ্য ভেঙে পড়া সত্ত্বেও দিনের পর দিন গৃহবন্দি রাখা হয়েছে হুরিয়ত নেতা গিলানিকে, ‘বেআইনি ভাবে আটকে রেখে’ ইয়াসিন মালিকের প্রতি ‘অমানবিক আচরণ’ করা হয়েছে, ফলে ‘প্রাণঘাতী’ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি।

তিনি বলেন, কাশ্মীরে ভারতের ‘লাগাতার নৃশংসতা অত্যাচারে’ শহিদ হয়েছেন ১১০ জনের বেশি নিরীহ নাগরিক, জখম হয়েছেন ১৫ হাজারের বেশি, যাঁদের অনেকেরই পরিস্থিতি সংকটজনক। এর কঠোর নিন্দা করছে পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক মহল, বিশেষত শীর্ষ মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলিকেও কাশ্মীরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ, গণহত্যা’র দিকে নজর দেওয়ার আবেদন জানান তিনি।

এদিনও নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে ভারতীয় সেনার ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে’র  দাবি পাকিস্তান প্রত্যাখ্যান করছে বলে জানিয়ে দেন নাফিস। বলেন, মিথ্যায় ভরা, দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্যে শুধু উত্তেজনাই বাড়ে, তা আঞ্চলিক শান্তি, সুস্থিতিকেও বিপন্ন করে তোলে, আর ভারত এটাই চায়।

তাঁর দাবি, ভারত সরকার সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের ব্যাপারে যে ভাসাভাসা, অস্বচ্ছ দাবি করছে, তা নিয়ে একগুচ্ছ প্রশ্ন উঠছে, এমনকী ভারতের মধ্য থেকেও। ভারত ও পাকিস্তানে নিযুক্ত রাষ্ট্রপুঞ্জের সামরিক পর্যবেক্ষক গোষ্ঠীও ঘটনাস্থল ঘুরেছে, কিন্তু ভারতের দাবির সমর্থনে কিছুই পায়নি।  আমরা রাষ্ট্রপুঞ্জের   সেক্রেটারি জেনারেলের মুখপাত্রের বক্তব্যও দেখেছি, তাতে কিন্তু ভারতের দাবি স্পষ্ট নাকচ করা হয়েছে।