গত জানুয়ারিতে হাফিজকে গৃহবন্দী করে পাকিস্তান। সেইসঙ্গে জামাতকে নজরদারির আওতায় নিয়ে আসা হয়। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে অনুমান করে হাফিজ জামাতের কাজকর্মের ভার তেহরিক-ই-আজাদ-জম্মু অ্যান্ড কাশ্মীর-এর হাতে সরাতে শুরু করে।
উল্লেখ্য, সন্ত্রাসবাদীদের পাক ভূখণ্ডে ব্যবহারের ব্যাপারে সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কঠোর মনোভাব প্রকাশ করেছেন। এই অবস্থায় চাপের মুখে পড়ে হাফিজের মদতপুষ্ট সংগঠনকে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় নিয়ে এল বলে মনে করা হচ্ছে।
জানা গেছে, পাকিস্তানের সন্ত্রাসের ঘাঁটিগুলিতে ড্রোন হামলা আরও বাড়ানোর কথা ভাবছে ট্রাম্প প্রশাসন। চলতি সপ্তাহে ভারত-মার্কিন যৌথ বিবৃতিতেও পাক ভূখণ্ড ব্যবহার করে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে লাগাম টানার ব্যাপারে কঠোর বার্তা দেওয়া হয়েছিল।
ভারত, আফগানিস্তান বরাবরই পাকিস্তানে জঙ্গিদের নিরাপদ ঘাঁটির ব্যাপারে সরব হয়েছে। এমনকি আমেরিকার বহু কংগ্রেস সদস্যও একই কথা বলেছেন। জামাতের মতো সংগঠনের অবাধ কাজকর্ম থেকেই স্পষ্ট যে, পাকিস্তানই সন্ত্রাসবাদে ইন্ধন জোগায়। কারণ, লস্কর-ই-তৈবা মতো জঙ্গি সংগঠনের মুখোশ হিসেবে গড়ে উঠেছিল জামাত। ২০০১-এ আমেরিকা লস্করকে নিষিদ্ধ করার পরের বছর পাকিস্তানও একই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছিল। ভারতে সন্ত্রাসবাদী হামলা চালানোর জন্যই হাফিজ লস্কর গড়ে তুলেছিল। পরে লস্কর নিষিদ্ধ হওয়ায় গড়ে তোলা হয় জামাত। এরপর জামাত নজরদারি আওতায় চলে আয়ার পর তৈরি হয় তেহরিক-ই-আজাদ-জম্মু অ্যান্ড কাশ্মীর।