ইসলামাবাদ:  পাকিস্তানকে আর অর্থ সাহায্য করা হবে না। দীর্ঘদিন ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বোকা বানিয়ে আর্থিক সাহায্য নিয়ে পাকিস্তান সেটা সন্ত্রাসমূলক কাজে ব্যবহার করেছে। ট্রাম্পের এই টুইটের পরই সামরিক সাহায্য পাকিস্তানকে আপাতত দেওয়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত নেয় মার্কিন প্রশাসন। তারপরই পাল্টা ফুঁসে উঠল পাকিস্তান। আফগানিস্তানে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে অন্যকে দোষারোপ করা বন্ধ করুক মার্কিন সরকার, মন্তব্য ইসলামাবাদের।


প্রসঙ্গত, নতুন বছরের সূচনায় পাকিস্তানকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট একটি টুইট করেন, আর অর্থ সাহায্য নয় পাকিস্তানকে। এই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মার্কিন প্রশাসন পাকিস্তানকে ২৫৫ মিলিয়ন ডলার সামরিক সাহায্য দেওয়ার কথা আপাতকালীন ভিত্তিতে বন্ধ করে দেয়। এরপরই পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী খওয়াজা আসিফ বলেন, তাঁরা আসল সত্যটা সারা দুনিয়ার সামনে শীঘ্রই প্রকাশ করবেন। এর কিছুক্ষণ পরেই পাক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানানো হয়, সেদেশের বিদেশমন্ত্রক পাকিস্তানে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে জরুরি তলব করেছে। তবে এই হঠাত্ বৈঠকের ঠিক কী কারণ, সেবিষয়ে কোনও সরকারি বিবৃতি দেওয়া হয়নি। পরে টুইটারে ট্রাম্পের টুইটের পাল্টা ফুঁসে ওঠেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খুরাম দস্তগির খান এবং তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রী মারিয়াম ঔরাঙ্গাজেব। তিনি বলেন, গত ১৬ বছর ধরে আল কায়দাকে ধ্বংস করতে পাকিস্তান মার্কিন সেনাকে সবরকম ভাবেই সহযোগিতা করেছে। সেটা যোগাযোগ ব্যবস্থাই হোক বা সামরিক শক্তি দিয়েই হোক বা তথ্য দিয়ে। কিন্তু মার্কিন প্রশাসন তার বদলে শুধু অবিশ্বাস ফিরিয়ে দিয়েছে। প্রসঙ্গত, আফগানিস্তানে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে অকারণে পাকিস্তানকে দোষারোপ করছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

এদিকে পাকিস্তানকে মার্কিন প্রশাসনের আর্থিক সাহায্য বন্ধ প্রসঙ্গে, আফগানিস্তানে নিযুক্ত প্রাক্তন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বিবেক কাটজু বলেন, শুধুমাত্র আর্থিক সাহায্য বন্ধ করে পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দেওয়া সম্ভব নয়। ট্রাম্পকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আরও অনেক কড়া হতে হবে মন্তব্য কাটজুর।