ইসলামাবাদ ও নয়াদিল্লি: গতকালই পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের মাত্রা হ্রাস করে বেশ কিছু কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার তীব্র নিন্দা করেছে নয়াদিল্লি। পরদিনই পাকিস্তান সমঝোতা এক্সপ্রেস ট্রেন পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে বলে সরকারি ভাবে জানালেন পাকিস্তানের ফেডেরাল রেলমন্ত্রী শেখ রশিদ আহমেদ। ইসলামাবাদে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানান, ঈদ উপলক্ষ্যে পাকিস্তানের যাত্রীদের পরিবহনে ব্যবহার করা হবে সমঝোতার বগিগুলি। তাঁকে উদ্ধৃত করে জিও টিভি বলেছে, আমি যতক্ষণ রেলমন্ত্রী, সমঝোতা এক্সপ্রেস ট্রেন পরিষেবা চলবে না।
৩৭০ ধারা রদ করে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলতি সংঘাতের মধ্যেই সমঝোতা এক্সপ্রেস ঘিরে এই জটিলতা। সূত্রের খবর, নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে বৃহস্পতিবার ওয়াঘা সীমান্তে তাদের ভূখণ্ডে আজ সমঝোতা এক্সপ্রেসকে থামিয়ে দেয় পাকিস্তান। কিছুক্ষণের জন্য আটকে থাকেন যাত্রীরা। ভারতীয় রেলের লোকজন, রক্ষীরা সমঝোতাকে পাহারা দিয়ে ওয়াঘা সীমান্ত থেকে আত্তারি নিয়ে আসেন। জনৈক পদস্থ রেলকর্তা পিটিআইকে বলেছেন, পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের কাছে থেকে দুপুর ২টো ১৪ নাগাদ খবরটা পেয়ে আমরা তাঁদের অভয় দিয়ে জানাই, নিরাপত্তাজনিত কোনও বিপদই নেই। ট্রেনটিকে এখানে অবশ্যই আসতে দিতে হবে। তবে আমরা এও বলি, দরকার হলে একজন ভারতীয় ক্রু ও রক্ষী ট্রেনটিকে পাহারা দিয়ে আত্তারি পর্যন্ত নিয়ে যাবেন। সর্বশেষ খবর, ভারতীয় ক্রু ট্রেনটিকে ওয়াগা থেকে চালিয়ে আত্তারি নিয়ে এসেছেন।
সমঝোতা এক্সপ্রেসে ৬টি স্লিপার কোচ ও একটি এসি থ্রি-টিয়ার কোচ আছে। ১৯৭১ এ ভারত-পাকিস্তান যু্দ্ধের পর স্বাক্ষরিত সিমলা চুক্তির আওতায় সমঝোতার যাত্রা শুরু হয় ১৯৭৬- এর ২২ জুলাই।
ভারতীয় ভূখণ্ডে দিল্লি থেকে আত্তারি ও পাকিস্তানের দিকে লাহোর থোকে ওয়াগা পর্যন্ত যাতায়াত করে সমঝোতা।
চলতি বছরে এর আগেও সাময়িক সমঝোতা পরিষেবা স্থগিত রাখা হয়েছিল দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে উত্তেজনার পারদ চড়তে থাকায়। পরে অবশ্য তা ফের শুরু হয়।