কিন্তু মেয়েটি আদালতে জানায়, জোর জবরদস্তি করা হয়নি, স্বেচ্ছায় সে ধর্ম বদলেছে। দাবির সমর্থনে আদালতে আরবিতে প্রার্থনাও করে সে।
নিজেদের ইচ্ছায় বিয়ে করায় হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়ে আদালতের কাছে নিরাপত্তা চায় মারিয়া ও তার স্বামী বিলাবল আলি ভুট্টো।
মারিয়ার মা আদালতে বলেন, তাঁর আশঙ্কা, বিলাবল কিছুদিন বাদে মেয়েকে পরিত্যাগ করতে পারে, তাই মেয়েকে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হোক যাতে এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার জন্য তাকে বোঝানো যায়।
বিচারপতি শওকত আজিজ সিদ্দিকি মারিয়াকে বাবা-মার সঙ্গে দেখা করতে বললে সে রাজি হয়নি।
বিচারপতি বলেন, আমার মতে, আবেদনকারী মারিয়াকে তার বাবা-মায়ের হেফাজতে তুলে দেওয়া যায় না, কেননা তাকে মুসলিম থেকে আবার হিন্দু হতে বাধ্য করা হতে পারে বলে তার আশঙ্কা। সেই প্রয়াস সফল হলে মেয়েটি আরও বিপদে পড়বে।
এদিকে পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ) সদস্য তথা পাকিস্তান হিন্দু কাউন্সিলের পৃষ্ঠপোষক রমেশ কুমার ভাঙ্কওয়ানি বলেন, এই প্রবণতা সমাজের মৌলিক বুনিয়াদ ধ্বংস করছে। এদিকে নজর দিক আদালত। হিন্দু সমাজে পরিবারের সম্মান রক্ষায় কারো কারি অর্থাত্ দম্পতিকে মেরে ফেলার রীতি নেই। বাবা-মায়ের কাছে ফিরে গেলে মারিয়ার খুন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও ভিত্তিহীন বলেও জানান তিনি।
আদালত তাঁর কাছে জানতে চায়, তিনি মারিয়া ও বিলাবল, দুজনকে নিজের কাছে রাখতে আগ্রহী কিনা। ভাঙ্কওয়ানি জানান, কাউন্সেলিং করানোর জন্য শুধু মারিয়াকে তাঁর হেফাজতে দেওয়া যেতে পারে।
অবশেষে ওই দম্পতি ইসলামাবাদে একসঙ্গে থাকতে পারে বলে জানিয়ে স্থানীয় পুলিশকে তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দেন বিচারপতি।