নয়াদিল্লি : পাকিস্তানে ( Pakistan ) গাধার সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে হু হু করে ! বলছে অর্থনৈতিক সমীক্ষা ( Economic Survey )। গত বছরে প্রতিবেশী দেশে একলাফে গাধার সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ১ লাখ ! এখন পাকিস্তানে গাধার সংখ্যা ৫৮ লাখ। বৃহস্পতিবার দেশের অর্থনৈতিক সমীক্ষায় প্রকাশ , গাধা ছাড়াও মহিষ এবং ভেড়া সহ বিভিন্ন গবাদি পশুর সংখ্যাও বেড়ে গিয়েছে উল্লেখযোগ্য হারে।
তবে সবথেকে উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে পাকিস্তানে গাধার সংখ্যা। সম্প্রতি পাকিস্তান ইকোনমিক সার্ভে প্রকাশ করে। সেখানে দেখা যায় গত এক বছরেই সে দেশে গাধার সংখ্যা ৫৭ লাখ থেকে বেড়ে ৫৮ লাখ হয়েছে। এর কারণ নাকি চিন !
ভারতের আরেক প্রতিবেশী দেশ চিনকেই পাকিস্তানে গাধার সংখ্যা বৃদ্ধির মূল কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে। চিন পাকিস্তান থেকে গাধা আমদানি করে থাকে। ইদানিং নাকি চিনে গাধার চাহিদা প্রচুর, যে জন্য চিনই বারবার করে পাকিস্তানকে বলেছে গাধা রফতানি বাড়াতে!
গাধার চামড়া থেকে জিলেটিন বের হয়
পাকিস্তানি সংবাদপত্র দ্য ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চিন ক্রমাগত অন্যান্য দেশ থেকে কুকুর ও গাধা আমদানি করে চলেছে। চিনে গাধা ও কুকুরের চাহিদা ক্রমেই বাড়ছে। চিন গাধার চামড়া থেকে জিলেটিন (gelatin) পায়, যা চিনে বিশেষ ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এর জন্য গাধাকে মেরে তারপর তাদের চামড়া ফুটিয়ে জিলেটিন বের করা হয়। ২০১৯ সালে গার্ডিয়ানে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে দাবি, এই জিলেটিনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুবই বেশি।
গাধাপালনের জন্য 3,000 একর জমি ধার্য করেছে পাকিস্তান
জিও নিউজের প্রতিবেদনে দাবি, ২০২২ সালে পাকিস্তানের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং সেনেটের স্থায়ী কমিটির কর্মকর্তাদের মধ্যে আমদানি ও রফতানি নিয়ে একটি আলোচনা হয়। পাকিস্তানের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক সদস্য, দিনেশ কুমার জানান, চিন পাকিস্তান থেকে গাধা এবং কুকুর আমদানিতে আগ্রহ দেখিয়েছে। এর জন্য দেশটির সরকার পাঞ্জাব প্রদেশের ওকারা জেলায় তিন হাজার একরের বেশি ধার্য করেছে এবং সেখানে গাধা পালন করা হচ্ছে জোরকদমে।
আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে দাবি, গাধার সংখ্যা বাড়লেও, একই সময়ে উট, ঘোড়া এবং খচ্চরের সংখ্যায় কোনও পরিবর্তন হয়নি। তবে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সমীক্ষা (2022-23) অনুসারে, দেশে গবাদি পশুর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫৫.৫ মিলিয়ন। মহিষ ৪৫ মিলিয়ন, ভেড়া ৩২.৩ মিলিয়ন এবং ছাগল ৮৪.৭ মিলিয়ন হয়েছে।