ইসলামাবাদ: কুলভূষণ যাদবের মৃত্যুদণ্ডের সাজা কার্যকর করার উপর আগেই স্থগিতাদেশ জারি করেছে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিস। এবার সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে শুনানি। তার আগে পাকিস্তান স্বীকার করে নিল, এই ইস্যুতে তারা বিপাকে। একটি সংবাদমাধ্যমকে পাক সরকারের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেছেন, তাঁদের হাতে খুব কম সময় রয়েছে। আইনজীবী নিয়োগ করা এবং আন্তর্জাতিক আদালতে শুনানির সময় হাজির থাকা কঠিন। ফলে সমস্যায় পড়ে গিয়েছে ইসলামাবাদ।

ভারত ও পাকিস্তান দু দেশই কমনওয়েলথের সদস্য হওয়ায় ভারত বরাবরই দাবি করে এসেছে, দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে হস্তেক্ষেপের অধিকার নেই আন্তর্জাতিক আদালতের। কিন্তু কুলভূষণের ক্ষেত্রে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে আন্তর্জাতিক আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে ভারত। ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে ভিয়েনা সম্মেলনের চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে নয়াদিল্লি। আত্মপক্ষ সমর্থনে পাকিস্তান এবার দাবি করতে পারে, কুলভূষণের বিষয়ে হস্তক্ষেপের অধিকার নেই আন্তর্জাতিক আদালতের। এই কৌশল নিয়েই ভাবনা-চিন্তা করছে ইসলামাবাদ।

পাকিস্তানের অ্যাটর্নি জেনারেল আশতার আউসফ বলেছেন, কুলভূষণের বিষয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে কী কৌশল অবলম্বন করা হবে, সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী এবং বিদেশমন্ত্রীর দফতরে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। গত দু দিন ধরে বিদেশ মন্ত্রক এবং আইন মন্ত্রকের আধিকারিকদের সঙ্গে তাঁদের দীর্ঘক্ষণ বৈঠক হয়েছে। ১৯৯৯ সালে পাকিস্তানের একটি যুদ্ধবিমান গুলি করে নামিয়েছিল। সেই ঘটনার পর ভারত দাবি করেছিল, এই বিষয়টি আন্তর্জাতিক আদালতের এক্তিয়ারে পড়ে না। সেই ঘটনার কথা উল্লেখ করে এবার কুলভূষণের বিষয়ে একই দাবি জানাতে পারে পাকিস্তান।