লাহৌর: লাগাতার ভারী বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করছে পাকিস্তানে (Pakistan Floods Situation)। এখনও পর্যন্ত সেখানে ১ হাজার ৩১৪ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বন্যার শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত আহতের সংখ্যা ১২ হাজার ৫০০। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন দেশের ৩ কোটি ৩০ লক্ষ মানুষ। অবিলম্বে ৬০ লক্ষ ৪০ হাজার মানুষের কাছে মানবিক সাহায্য পৌঁছে দেওয়া প্রয়োজন বলে জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। 


লাগাতার বৃষ্টিতে পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে


‘হু’ জানিয়েছে, বন্যার কবলে ৬ লক্ষ ৩৪ হাজারের বেশি মানুষ ঘরছাড়া পাকিস্তানে 9Pakistan Floods)। বন্যার জল ঢুকে পড়ায় দেশের ১ হাজার ৪৬০টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পরিষেবা প্রদান বন্ধ রয়েছে। যে ক’টি চালু রয়েছে, সেখানে ওষুধপত্র এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম পৌঁছচ্ছে না। ফলে চিকিৎসা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত সাধারণ মানুষ। 


এর পাশাপাশি, একটানা বন্যার জল দাঁড়িয়ে থাকায়, জলবাহিত ডায়রিয়া, টাইফয়েড, লেশম্যানিয়াসিসের মতো রোগের বৃদ্ধি চোখে পড়ছে। একই সঙ্গে ম্যালেরিয়ার প্রকোপও দেখা দিচ্ছে। বন্যা কবলিত এলাকায় বহু মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এখনও পর্যন্ত কয়েক হাজার মানুষ ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। তার সঙ্গে ত্বকের সংক্রমণ, শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণ, চোখের সমস্যাও দেখা দিয়েছে। টাইফয়েড রোগীর সংখ্যাও বেড়ে চলেছে উদ্বেগজনক ভাবে। 


আরও পড়ুন: India News: 'কর্তব্য পথ' হতে চলেছে রাজধানীর রাজপথ, খবর সূত্রে


‘হু’-র পূর্ব-ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের ডিরেক্টর আহমেদ আল মান্ধারি একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলেন, ‘বন্যার কবলে মানবিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে পাকিস্তানে। দেশের নাগরিকদের জন্য প্রার্থনা করছি আমরা। আমাদের কর্মীরা ইতিমধ্যেই কাজে নেমে পড়েছেন।সহযোগী দেশগুলিও এগিয়ে আসছে সাহায্যে।’’


তবে এই মুহূর্তে পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার পাওয়ার কোনও লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। কারণ একনাগাড়ে বৃষ্টি হয়ে চলায় নদীগুলির জলস্তর লাগাতার বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। শনিবার সিন্ধ প্রদেশের মাঞ্ছার লেকের জলস্তর বিপদসীমা ছাড়িয়ে সমতলকে গ্রাস করেছে বলে জানা গিয়েছে। এর ফলে দাদু জেলা থেকে সাধারণ মানুষকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। সংলগ্ন জাফরাবাদ, চান্না, আরাজি, বুবাক এবং ওয়াহুরও বিপদমুক্ত নয়। 


পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়ে ক্ষতিপূরণের অঙ্ক বাডা়লেন প্রধানমন্ত্রী


এমন পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ সোমবার সিন্ধ প্রদেশের কাম্বার-শাহদাদকোটের পরিস্থিতি পরিদর্শনে যান। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে সেখানে ক্ষতিপূরণের অঙ্গ আড়াই গুণ বাড়ানো হবে বলে ঘোষণা করেন তিনি।