লন্ডন : ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে আপাতত বসা হল না কোনও ভারতীয় বংশোদ্ভূতের। শেষ ল্যাপে ঋষি সুনককে হারিয়ে ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন লিজ ট্রাস (Liz Truss)। বরিস জনসনের পরে নতুন প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন ব্রিটেনের বিদেশ সচিব লিজ ট্রাস। ব্রিটেনের তৃতীয় মহিলা প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন লিজ ট্রাস। মার্গারেট থ্যাচার ও টেরেসা মে এর আগে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসেছিলেন।


ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাল শপথ নেবেন লিজ ট্রাস। লিজ ট্রাসকেই নির্বাচিত করল কনজারভেটিভ পার্টি। দলীয় সদস্যদের মধ্যে নির্বাচনে ৮১ হাজার ৩২৬ টি ভোট পান লিজ ট্রাস। অপরদিকে ঋষি সুনক ( Rishi Sunak) পেয়েছেন ৬০ হাজার ৩৯৯ টি ভোট।


বরিস জনসন পদত্যাগ করার পর বেশ কয়েক ধাপের এগোয় পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর লড়াই। প্রায় পাঁচ ধাপের লড়াইয়ের শেষে টেক্কা দেন লিজ ট্রাস। লড়াইয়ে প্রথম দিকে ঋষি সুনক দৌড়ে এগিয়ে থাকলেও গত কয়েকমাসে একাধিক বিতর্ক দানা বাঁধে তাঁকে ঘিরে। যার পর থেকেই ক্রমাগত লড়াইয়ে পিছিয়ে পড়তে থাকেন তিনি। ঋষি-র স্ত্রীর বিরুদ্ধে আয়কর না দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। বিদেশমন্ত্রী হওয়ার পরও দীর্ঘদিন মার্কিন পাসপোর্ট ধরে রাখা ঋষির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়েও দলের একাংশের মধ্যে ওঠে প্রশ্ন।


নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর দলীয় সদস্যদের সামনে বক্তব্য রাখার সময় লিজ ট্রাস বলেছেন, 'কনসারভেটিভ পার্টির নেতা হতে পেরে গর্বিত। আমার ওপর আস্থা রেখে দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার দারুণ সুযোগ করে দেওয়ার জন্য সবার কাছথে কৃতজ্ঞ। কঠিন সময়ে অর্থনীতি সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্রিটেনকে ফের শক্তিশালী করার চেষ্টা করে তুলব।'






ব্রেক্সিটকে বাস্তব রূপ দেওয়া, রাশিয়ার সঙ্গে লড়াইয়ের মতো একাধিক ক্ষেত্রে বরিস জনসন ব্রিটেনকে যোগ্য নেতৃত্ব দিয়েছেন বলেও জানান তিনি। লিজ ট্রাস যখন বক্তব্য রাখছেন, তখন দর্শকাসনে বসে করতালি দিয়ে তাঁকে অভিবাদন দিতে দেখা যায় ঋষি সুনককে।


 


আরও পড়ুন- '৮৯ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হতে চলেছে’ ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের