নয়াদিল্লি: উরি হামলার প্রতিবাদে পাকিস্তানের উপর চাপ আরও বাড়িয়ে আগামী নভেম্বরে পাকিস্তানে আসন্ন সার্ক সম্মেলনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। এবার এই আট সদস্য বিশিষ্ট সংগঠনে আরও বিচ্ছিন্ন হতে চলেছে পাকিস্তান। কারণ, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির এই সংগঠনের আরও তিন দেশ সম্মেলনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ ব্যাপারে ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ, ভুটান এবং আপগানিস্তান। নেপালও সন্ত্রাসবাদের প্রশ্নে ভারতকেই সমর্থন জানিয়ে এ ব্যাপারে পাকিস্তানকে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করতে বলেছে।


উল্লেখ্য, ভারত গতকালই জানিয়েছ, পাকিস্তানের সীমান্ত পারের সন্ত্রাসবাদকে মদত দিয়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ইসলামাবাদে প্রস্তাবিত সার্কের শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে পারবে না ভারত।

সূত্রের খবর, সাউথ এশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর রিজিওনাল কোঅপারেশন (সার্ক)-এর বর্তমান চেয়ার-দেশ নেপালকে বাংলাদেশ জানিয়েছে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে একটি দেশের ক্রমবর্ধমান হস্তক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তা ইসলামাবাদে সার্কের ১৯ তম শীর্ষ সম্মেলনের সফল আয়োজনের অনুকূল নয়।

বাংলাদেশ আরও বলেছে, সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা দেশ হিসেবে বাংলাদেশ আঞ্চলিক সহযোগিতা ও যোগাযোগের প্রতিশ্রুতির ব্যাপারে দায়বদ্ধ। কিন্তু এই লক্ষ্য এগিয়ে নিয়ে যেতে একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশের প্রয়োজন। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ইসলামাবাদে সংগঠনের আসন্ন শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে পারবে না।

সূত্রের খবর, ভুটানও সার্কের চেয়ারপার্সনের কাছে এই অঞ্চলে সাম্প্রতিক সময়ে সন্ত্রাসবাদের বাড়বাড়ন্তে উদ্বেগ প্রকাশ করেছ। সন্ত্রাসবাদের কারণে আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতির পরিপ্রেক্ষিতে ভুটান সার্ক সম্মেলনে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের অক্ষমতার কথা জানিয়েছে।

সূত্রের খবর একই কারণ দেখিয়ে শীর্ষ সম্মেলনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছে আফগানিস্তানও।

গতকাল সন্ধ্যায় বিদেশ মন্ত্রকের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সীমান্তপারের সন্ত্রাসে মদত দিয়ে ও অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে একটি দেশ এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে, যার ফলে ইসলামাবাদে সার্ক সম্মেলন সফল করা সম্ভব নয়।’

এই অবস্থায় স্থগিত হয়ে যেতে পারে ইসলামাবাদে আসন্ন সার্ক সম্মেলন। সার্কের সনদ বলছে, কোনও একটি সদস্য দেশ যোগ না দিলেই শীর্ষ সম্মেলন বাতিল হয়ে যাবে।