সঈদের নিজের গোষ্ঠী ও তাদের সহযোগী রাজনৈতিক সংগঠনগুলির প্রবল আপত্তির মধ্যেই গত ৩০ জানুয়ারি সঈদ ও সন্ত্রাসবাদী আইনের চতুর্থ শিডিউলে ঢোকানো চারজনকে লাহোরে গৃহবন্দি করা হয়েছে। ‘ডন’-এর রিপোর্ট, জামাত-উদ-দাওয়া ও ফালাহ-ই-ইনসানিয়াতের সক্রিয় সদস্য হিসাবে চিহ্নিত করে এদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন দপ্তরকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতেও নির্দেশ দিয়েছে অভ্যন্তরীণ মন্ত্রক। পাশাপাশি সঈদ ও তাঁর জামাত-উদ-দাওয়া ও ফালাহ-ই-ইনসানিয়াতের ৩৭ জন নেতাকে এক্সিট কন্ট্রোল লিস্টেও (ইসিএল) রেখেছে পাক প্রশাসন, যার ফলে এরা দেশ ছাড়তে পারবে না।
১৯৯৭ সালের সন্ত্রাস দমন আইনে কাউকে ‘নিষিদ্ধ’ ঘোষণা করে একতরফা ওই আইনের চতুর্থ শিডিউলে ঢোকানোর ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে সরকারকে। স্রেফ ওই তালিকায় নাম উঠলেই ধরে নেওয়া হয়, কোনও না কোনও ভাবে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে যুক্ত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি। যাতায়াতের ওপর নিষেধাজ্ঞা, সম্পত্তি তল্লাশি সহ একাধিক আইনি ব্যবস্থার সামনে পড়তে হয় তাকে। আর চতুর্থ শিডিউলের ধারা লঙ্ঘন হলেই তিন বছর পর্যন্ত জেল বা জরিমানা, নয়তো একসঙ্গে দুটিই হতে পারে।
পাক দৈনিকটির বক্তব্য, সঈদকে গৃহবন্দি রাখার পদক্ষেপে পাক সেনার সমর্থন রয়েছে এবং অনেকেরই মত, পাকিস্তানের কাছে নিরাপত্তা ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার বদলে যাচ্ছে, এটা তারই নিদর্শন।
সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে তাঁর ভূমিকার জন্যও সঈদের মাথার দাম ১০ মিলিয়ন ডলার ঘোষণা করেছে মার্কিন প্রশাসন।