লাহৌর: ক্ষমতার রদবদল ঘটেছে। রাজনীতি থেকে দূরে থাকার কথা শুনিয়েছে সেনা (Pakistan News)। কিন্তু অশান্তির মেঘ সরছে না পাকিস্তানের আকাশ থেকে। দেশের মন্ত্রীকেই এ বার অপহরণ করল জঙ্গিরা। নিজেদের সতীর্থর মুক্তির দাবিতেই মন্ত্রীকে গ্রেফতার করে জঙ্গিরা। জঙ্গিদের সঙ্গে রফা করে শেষমেশ অক্ষত অবস্থায় ফেরত পাওয়া গিয়েছে মন্ত্রীকে (Terrorists)। 


পাকিস্তানে মন্ত্রীকে অপহরণ করল জঙ্গিরা


পূর্বতন ইমরান খান সরকারের অভিজ্ঞ মন্ত্রী ছিলেন আবেইদুল্লা বেগ (Abaidullah Baig )। বর্তমানে গিলগিট-বাল্টিস্তানের কারা মন্ত্রী তিনি। শুক্রবার ইসলামাবাদ থেকে স্কারদু ফিরছিলেন তিনি। সেই সময় বাবুসার রোডে সশস্ত্র জঙ্গিরা তাঁকে অপহরণ করে। অপহরণ করা হয় মন্ত্রীর দুই ভিনদেশী সঙ্গীকেও। পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও প্রকাশ করে তাঁদের মুক্তির শর্ত জানায় জঙ্গিরা। 


সে দেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, আবেইদুল্লাকে অপহরণ করে নিজেদের সতীর্থদের মুক্তির দাবি জানায় জঙ্গিরা। দিয়ামেরে ঘটে যাওয়া বিদেশি নাগরিক হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকায় কয়েক জনকে গ্রেফতার করা হয়। এ ছাড়াও একাধিক নাশকতামূলক কাজে জড়িত থাকার দায়ে কয়েক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাদের সকলকে মুক্তি দিতে হবে বলে দাবি জানায় জঙ্গিরা। একই সঙ্গে পাকিস্তানে ইসলামি আইন কার্যকর করতে হবে এবং  মেয়েদের খেলাধুলো বন্ধ করতে হবে বলেও দাবি জানায়। 


আরও পড়ুন: Rupee-Dollar: ডলারের তুলনায় টাকার সর্বোচ্চ দরপতন ! এই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে চলেছে আরবিআই


এর পর জঙ্গিদের সঙ্গে রফা করতে নামে পাক সরকার। গিলগিট-বাল্টিস্তান সরকারের মুখপাত্র ফয়জুল্লা জানান, ফোনে আবেইদুল্লার সঙ্গে হয় তাঁর। তাঁর মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু হয় তার পর। অপহরণকারীদের সঙ্গে সমঝোতা শুরু হয় জিরগা এলাকায়। শেষমেশ শনিবার মুক্তি পান আবেইদুল্লা। 


পাক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার যখন ইসলামাবাদ থেকে ফিরছিলেন আবেইদুল্লা, সেই সময় গিলগিট-বাল্টিস্তান এবং খাইবার পাখতুনখোয়াকে সংযুক্ত করে যে রাস্তা, তা আটকে রাখে জঙ্গিরা। এর পিছনে গিলগিট-বাল্টিস্তানের কুখ্যাত জঙ্গি হাবিবুর রহমান যুক্ত বলে জানা গিয়েছে। নঙ্গা পর্বতে তিনি ১০ বিদেশি নাগরিককে হত্যা করেন বলে অভিযোগ। 


জঙ্গিদের সঙ্গে সমঝোতা করে মন্ত্রীকে ফেরানো হল


গত শুক্রবারই পাক সেনেটে সন্ত্রাসের প্রসঙ্গ ওঠে। তেহরিক-ই-তালিবান-পাকিস্তানের মতো জঙ্গি সংগঠনগুলি দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে সক্রিয়তা বাড়াচ্ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন পাক সেনেটররা। তার পরই এই ঘটনা। ওই সংগঠনের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা চালিয়েছে পাক সরকার। কিন্তু কোনও বারই সমঝোতায় পৌঁছনো যায়নি।