নয়াদিল্লি: জোটসঙ্গী হাত ছাড়তেই লড়াই কার্যত শেষ। ইমরান খানের প্রধানমন্ত্রীত্বের পদ যাওয়া প্রায় নিশ্চিত।


শেষ মুহূর্তের চাল:
পাকিস্তানের মসনদে বসতে মুত্তাহিদা কোয়ামি মুভমেন্ট পাকিস্তানের (MQM-P) সঙ্গে জোট বেঁধেছিল ইমরান খানের দল তেহরিক ই ইনসাফ (Tehreek e Insaf). শাসক জোটের মূল শরিক ছিল MQM-P. এবার তারাই যোগ দিল বিরোধী শিবিরে। প্রধান বিরোধী দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি (PPP)-এর সঙ্গে হাত মেলাল তারা। এর ফলেই আস্থা ভোটের আগেই সংসদে সংখ্যালঘু হয়ে পড়ল ইমরান খানের (Imran Khan) সরকার। 


এখন কী অবস্থা:
শিবির বদলের পরেই পাকিস্তানের সংসদে বিরোধীদের মোট আসন দাঁড়িয়েছে ১৭৭। আর উল্টোদিকে ইমরানের নেতৃত্বের থাকা শাসকজোটের আসন সংখ্যা ১৬৪। ফলে আস্থা ভোট হলে ইমরানের হার অবশ্যম্ভাবী বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ ইমরানকে পদ থেকে সরাতে বিরোধীদের ১৭২টি ভোট প্রয়োজন। ৩১ মার্চ আস্থাভোট হওয়ার কথা। তার আগে এমন রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে বেশ ভালরকমই ধাক্কা লেগেছে ইমরান শিবিরে। আস্থাভোট ঘোষিত হলেও তাতে বিশেষ বিচলিত হননি ইমরান। এবার সঙ্গীর শিবিরবদলের পর কী করবেন তিনি? তুঙ্গে জল্পনা।


বিরোধীদের দাবি:
পাকিস্তান পিপলস পার্টি (PPP)-এর চেয়ারম্যান বিলাবল ভুট্টো জারদারি টুইট করে জানিয়েছেন, MQM-এর সঙ্গে বিরোধীদের সমঝোতা হয়েছে। সেই ভাবেই কাজ হবে।


ক্ষুব্ধ ইমরান:
ইমরানকে সরাতে দীর্ঘদিন ধরেই জোট বেঁধেছে বিরোধী দলগুলি। অনাস্থা থেকে আস্থাভোটও স্থির করা হয়েছে। গোটা ঘটনায় তীব্র আক্রমণ করেছেন ইমরান খান। তাঁর দাবি, বিদেশ থেকে আসা টাকা নিয়ে তাঁর সরকারকে উৎখাত করার পরিকল্পনা করছে পাকিস্তানেরই কিছু লোক। ইমরান-সরকারের মন্ত্রী আসাদ উমর (Asad Umar) জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান তাঁর দাবির সপক্ষে  পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে তথ্য পেশ করতে তৈরি। নিজের একাধিক সভা ও মিছিলেও একই দাবি করছেন ইমরান খান।   


আরও পড়ুন: গণ আন্দোলনে উত্তাল পাকিস্তান, টালমাটাল ইমরানের গদি, সামনে নওয়াজ-কন্যা মরিয়ম