লহৌর: সংবিধান লঙ্খন করে (Pakistan Political Crisis) ইমরান খান (Imran Khan) অ্যাসেম্বলি ভেঙে দিয়েছেন বলে অভিযোগ বিরোধীদের। তিন মাসের মধ্যে নতুন করে নির্বাচন করানোর পিছনেও কৌশল রয়েছে বলে দাবি তাঁদের। সেই অভিযোগ যদি সত্য হয়, তাহলে ইমরানের পরিকল্পনায় আপাতত জল ঢালল সে দেশের নির্বাচন কমিশন (Pakistan Election Commission)। জানিয়ে দিল, অনেক আইনি এবং সাংবিধানিক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। এত কম সময়ে নির্বাচনের আয়োজন সম্পূর্ণ করাও সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিল তারা। বলা হয়েছে, ছ'মাসের আগে কোনও ভাবেই নির্বাচন করানো সম্ভব নয়। 


আস্থাভোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়ে শুনানি পাক সুপ্রিম কোর্টে


এ দিকে মঙ্গলবারই পাক সুপ্রিম কোর্টে অ্যাসেম্বলি-র (Pakistan Supreme Court) ডেপুটি স্পিকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফের শুনানি রয়েছে। অনাস্থা প্রস্তাব পেশ, আস্থাভোটের দিন ক্ষণ ঘোষণার পরও ভোটাভুটি বাতিল করা হল কোন যুক্তিতে, তা নিয়ে শুনানি চলছে। সোমবারও একদফা শুনানি হয় এই নিয়ে। প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিলাল নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, সব দিকে ভারসাম্য রেখেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে আদালতকে। কিন্তু বিরোধীপক্ষের আইনজীবীরা যুক্তি দিতে উঠলে শুনানি স্থগিত হয়ে যায়। মঙ্গলবার এ নিয়ে রায় শোনাতে পারে পাক শীর্ষ আদালত।


বিগত কয়েক মাস ধরে বিক্ষোভে জেরবার ইমরান


কোভিড-উত্তর পর্বে পাকিস্তানের অর্থনীতি কার্যত তলিয়ে যাওয়ার মুখে। এমন অবস্থায় ইমরান সরকারের বিরুদ্ধে অপশাসন তো বটেই, সরকারি কোষাগারের টাকা অপ্রয়োজনে খরচের অভিযোগও উঠেছে। পেট্রল-ডিজেলের শুল্ক যথাক্রমে ১০ এবং ৫ টাকা করে কমিয়ে সম্প্রতি সাধারণ মানুষের ক্ষোভ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন ইমরান। কিন্তু তাতেই পরিস্থিতি শান্ত হয়নি। বরং বিরোধীরা বিক্ষোভে সামিল হয়ে ইমরান বিরোধী মঞ্চকে আরও মজবুত করে তোলেন।


আরও  পড়ুন: Russia Pakistan Relation: পাকিস্তানে অশান্তিতে কলকাঠি আমেরিকার! 'মস্কো সফরের শাস্তি পাচ্ছেন ইমরান', দাবি রাশিয়ার


এর পর ইমরান সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেন তাঁরা। রবিবার সেই নিয়ে ভোটাভুটি হওয়ার কথা ছিল পাক অ্যাসেম্বলিতে। কিন্তু এই ভোটাভুটিকে সংবিধান এবং দেশের নীতির পরিপন্থী বলে উল্লেখ করে আস্থাভোট বাতিল করে দেন ডেপুটি স্পিকার। অ্যাসেম্বলি ভেঙে নতুন করে নির্বাচন করানোর প্রস্তাব দেন ইমরান। সেই মতোই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন প্রেসিডেন্ট।


গণতান্ত্রিক দেশে আস্থাভোট বাতিল করে ইমরান সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন বলে অভিযোগ তোলেন বিরোধীরা। ডেপুটি স্পিকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে ছোটেন তাংরা। আদালতও স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা গ্রহণ করে।