নয়াদিল্লি : চরম আর্থিক সঙ্কটে শ্রীলঙ্কা। প্রতিবাদের আঁচে জ্বলছে দ্বীপরাষ্ট্র । চারিদিকে অর্থ সঙ্কট । জিনিস পত্রের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। এরই মাঝে প্রেসিডেন্ট রাজাপক্ষের আবেদন নাকচ করে দিলেন ।
ঐক্য সরকারে যোগদানের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান
শ্রীলঙ্কায় শাসক বিরোধীরা প্রেসিডেন্ট রাজাপক্ষের ( President Rajapaksa) কাছ থেকে আসা ঐক্য সরকারে যোগদানের আমন্ত্রণকে "অযৌক্তিক" বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। পরিবর্তে দেশের খাদ্য, জ্বালানি ও ওষুধের ক্রমবর্ধমান ঘাটতির জন্য রাজাপক্ষেরই পদত্যাগ দাবি করেছে।
স্বাধীনতার পর থেকে এমন চরম আর্থিক সঙ্কট দেখেনি শ্রীলঙ্কা
একটি পূর্ণ মন্ত্রিসভা নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত সংসদের বৈধতা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি চার মন্ত্রীর নামের উল্লেখ করেছেন। দেশে এখন ওষুধের তীব্র ঘাটতি। চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বহু মানুষ। মঙ্গলবার থেকে শ্রীলঙ্কায় জরুরি স্বাস্থ্য পরিস্থিতি (An emergency health situation ঘোষণা করা হয়েছে। দ্বীপরাষ্ট্রে বিদেশি মুদ্রার সঙ্কট ভয়াবহ। স্বাধীনতার পর থেকে এমন চরম আর্থিক সঙ্কট দেখেনি শ্রীলঙ্কা। এই পরিস্থিতিতে শাসককেই দুষছেন সাধারণ মানুষ। ক্ষমতাসীন রাজাপক্ষে পরিবারের বিরুদ্ধে ব্যাপক গণআন্দোলন শুরু হয়েছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় জরুরি অবস্থা জারি করেও পরিস্থিতি বাগে আনা যাচ্ছে না।
৩৬ ঘণ্টার কার্ফু
বিদ্রোহ বাগে আনতে শনিবার আরোপ করা হয় ৩৬ ঘণ্টার কার্ফু। এরপর তা তুলে নেওয়া হলেও দেশে এখনও জরুরি অবস্থা জারি রয়েছে। কূটনীতিকদের একাংশ কলম্বোতে জরুরি আইনের ব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ।
শ্রীলঙ্কার মন্ত্রিসভার সদস্যদের ইস্তফা
শ্রীলঙ্কার মন্ত্রিসভার সদস্যরা ইস্তফা দিয়েছেন রবিবার। প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষের ছেলে, শ্রীলঙ্কার ক্রীড়ামন্ত্রী নামাল রাজাপক্ষেও রয়েছেন তাঁদের মধ্যে। এরইমধ্যে শ্রীলঙ্কায় জ্বালানি সঙ্কটও চরমে পৌঁছেছে। প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন মন্ত্রিসভার সদস্যরা । দেশের রাজনৈতিক ক্ষেত্রে স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনতেই এমন পদক্ষেপ, বলে জানান তাঁরা।
শ্রীলঙ্কায় লাগামছাড়া বাজারদর
শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোয় চালের ন্যূনতম দাম ২০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। ১ কেজি চাল কিনতে সেখানে ২২০ টাকা খরচ করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। গম বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ১৯০ টাকা কেজি দরে। কেজিতে ২৪০ টাকা দাম রাখা হয়েছে চিনির। নারকেল তেলের দাম পৌঁছেছে প্রতি লিটারে ৮৫০ টাকায়। একটি ডিম কিনতে সেখানে ৩০ টাকা দিতে হচ্ছে গ্রাহককে।