ইসলামাবাদ : "এখনই ভোট হোক"। এমনই দাবি জানালেন পাকিস্তানের (Pakistan) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Iman Khan)। সোমবার শাহবাজ শরিফ পাকিস্তানের ২৩তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর এই দাবি জানান ইমরান। 


ট্যুইটারে পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফের চেয়ারম্যান ইমরান লেখেন, কাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চান অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের মানুষই তা সিদ্ধান্ত নিক। এর পাশাপাশি তিনি আগামী ১৩ এপ্রিল পেশওয়ারে সমাবেশ করবেন বলে জানিয়ে দেন।


ট্যুইটারে তিনি লেখেন, আমরা এখনই নির্বাচন চাইছি। কারণ, অবাধ নির্বাচনের মাধ্য়মে মানুষকে সিদ্ধান্ত নিতে দেওয়ার সেটাই একমাত্র উপায়। বিদেশি শক্তির প্ররোচনায় দেশে শাসক পরিবর্তনের পর বুধবার পেশওয়ারে জলসায় যোগ দেব। আমি চাই, আপনারা সকলে আসুন। কারণ, পাকিস্তান একটা স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র। কোনও বিদেশি শক্তির পুতুল নয়।


আরও পড়ুন ; পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী হলেন শাহবাজ শরিফ


শনিবার মধ্যরাতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদে মেয়াদ শেষ করার আগে গদিচ্যুত ইমরান খানও।। ৩৪২ জন পাক সাংসদের মধ্যে বিরোধীদের পক্ষে পড়ে ১৭৪টি ভোট। এরপরই ইস্তফা দেন পাক অ্যাটর্নি জেনারেল। ভোটাভুটির ফল প্রকাশের আগেই হার নিশ্চিত বুঝে রণে ভঙ্গ দেন ইমরান। কপ্টারে ইসলামবাদ ছাড়েন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী। ১৭৪ ভোটে আস্থা ভোটে হারের পর প্রাক্তন বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ট্যুইটারে লেখেন, ' বিদেশি ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার লড়াই আজ থেকে ফের শুরু হল'। এরপর বিরোধীদের তরফে প্রধানমন্ত্রী পদে মনোনয়ন জমা দেন নওয়াজ শরিফের ভাই শাহবাজ শরিফ। গতকাল পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী হন শাহবাজ শরিফ। পাকিস্তানের ২৩ তম প্রধানমন্ত্রী হন শাহবাজ। নওয়াজ শরিফের ভাই বা PML (N)-এর প্রেসিডেন্ট ছাড়াও অন্য একটি পরিচয় আছে শাহবাজ শরিফের। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের তিনবার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। উল্লেখ্য, ৭৫ বছরের ইতিহাসে পাকিস্তানে কোনও প্রধানমন্ত্রী তাঁর সময়সীমা পূর্ণ করতে পারেননি।


বিধানসভা থেকে ইমরানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফের বিধায়কদের ওয়াকআউট। পাকিস্তানে ফের ক্ষমতায় ফিরল শরিফ পরিবার।