ইসলামাবাদ: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী (Imran Khan) ইমরান খানের সুপারিশ অনুযায়ী জাতীয় সংসদ (National Assembly) ভেঙে দিলেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি (Arif Alvi)। পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী জানিয়েছেন, মন্ত্রিসভা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী ফারুখ হাবিব জানিয়েছেন, সংসদ ভেঙে দেওয়ার ৯০ দিনের মধ্যেই নতুন করে নির্বাচন হবে।
সংসদে সংখ্যালঘু ইমরান খান সরকার
ইতিমধ্যেই পাক জাতীয় সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ। তাদের জোটসঙ্গী জোটসঙ্গী এমকিউএম-পি হাত মিলিয়েছে বিরোধী দল পাকিস্তান পিপলস পার্টির সঙ্গে। ফলে পাকিস্তানে বিরোধীরাই এখন সংখ্যাগরিষ্ঠ। তবে হাল ছাড়তে নারাজ ইমরান খান। লড়াইয়ের বার্তা দিয়েই আজ অনাস্থা প্রস্তাবের মোকাবিলা করেন তিনি। অশান্তির আশঙ্কায় ইসলামাবাদজুড়ে জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। পাক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটির আগে পাঞ্জাব প্রদেশের গভর্নর চৌধুরী মহম্মদ সারওয়ারকে বরখাস্ত করে ফেডারেল সরকার। অ্যাক্টিং গভর্নর হিসেবে দায়িত্বে আসেন ডেপুটি স্পিকার। তিনিই অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করে দেন।
জাতির উদ্দেশে ভাষণ পাক প্রধানমন্ত্রীর
ডেপুটি স্পিকার অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করে দেওয়ার পর জাতির উদ্দেশে ভাষণে পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি প্রেসিডেন্টকে চিঠি দিয়ে সংসদ ভেঙে দিতে বলেছি। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচন হওয়া উচিত। আমি পাকিস্তানের মানুষকে নির্বাচনের জন্য তৈরি হতে বলছি।’
ইমরান খান আরও বলেছেন, ‘স্পিকারের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে আমি সব পাকিস্তানিকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। অনাস্থা প্রস্তাব আমাদের বিরুদ্ধে বিদেশি চক্রান্ত ছিল। কারা সরকার চালাবে, এটা পাকিস্তানের ঠিক করা উচিত।’
ইমরানের এই বক্তব্যের পরেই সংসদ ভেঙে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন পাক প্রেসিডেন্ট।
সংসদে গরহাজির পাক প্রধানমন্ত্রী
আজ পাক প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় সংসদে থাকার কথা ছিল। তিনি অবস্থান বদল করে দলীয় সব সাংসদকে সংসদে হাজির থেকে অনাস্থা প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত ইমরান খান নিজেই সংসদে হাজির হননি।
পাক সুপ্রিম কোর্টে বিরোধীরা
সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ হওয়ায় পাক সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে বিরোধীরা, জানালেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা বিলাবল ভুট্টো জারদারি।