ইসলামাবাদ: ভারত সহ পাঁচ সদস্য দেশ সরে দাঁড়ানোয় আগেই ঠিক হয়ে গিয়েছিল, নির্ধারিত সময়ে আগামী সার্ক সম্মেলন হচ্ছে না। ফলে আন্তর্জাতিক স্তরে পাকিস্তানের মুখ পুড়েছিল। সেই কোণঠাসা অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে এবার আনুষ্ঠানিকভাবে সার্ক সম্মেলন মুলতুবী করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করল পাকিস্তান। বর্তমানে সার্কের চেয়ারপার্সন নেপালের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সম্মেলনের নতুন দিনক্ষণ ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে পাকিস্তান।


শুক্রবার পাক বিদেশ মন্ত্রক এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ইসলামাবাদে ৯-১০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে চলা সার্ক সম্মেলনে যোগ না দেওয়ার কথা জানিয়ে এই সম্মেলন বানচাল করে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে ভারত। এই ঘটনায় পাকিস্তান হতাশ। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ এই সম্মেলনে সদস্য দেশগুলির প্রতিনিধিদের স্বাগত জানানোর জন্য তৈরি হচ্ছিলেন। সার্ক সম্মেলনকে সফল করে তোলার জন্য সবরকম প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ভারতের বাধায় সম্মেলনই মুলতুবী করে দিতে হল।’

সার্ক সম্মেলন মুলতুবী করে দেওয়ার জন্য ভারতকেই দায়ী করেছে পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রক। তাদের দাবি, একটি দেশের দ্বিপাক্ষিক সমস্যার ছায়া সার্কের উপর ফেলা উচিত নয়। ভারত এই সম্মেলন বাতিল করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বার্তার বিরোধী।

উরি হামলার প্রতিবাদে সার্ক সম্মেলন বয়কট করার কথা ঘোষণা করে ভারত। এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়ে বাংলাদেশ, ভুটান, আফগানিস্তানও সার্ক সম্মেলনে যোগ দেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। শুক্রবার শ্রীলঙ্কাও জানিয়ে দিয়েছে, তারা এই সম্মেলনে যোগ দেবে না। সব দেশই জানিয়েছে, পাকিস্তানে সার্ক সম্মেলন আয়োজনের উপযুক্ত পরিবেশ নেই। তবে পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রক শুধু ভারতকেই দায়ী করেছে। তাদের দাবি, উরি হামলাকে সামনে রেখে সার্ক সম্মেলন থেকে সরে দাঁড়িয়ে কাশ্মীরে সেনাবাহিনীর নৃশংসতা থেকে বিশ্বের দৃষ্টি ঘুরিয়ে দেওয়ার বৃথা চেষ্টা করছে ভারত।