ইসলামাবাদ: এবার ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনকে পাল্টা পাকিস্তানের। সম্প্রতি দক্ষিণ এশিয়া ও আফগানিস্তান সংক্রান্ত নয়া নীতি ঘোষণার সময় পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদীদের নিজের ভূখণ্ডে নিরাপদ আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে দুষেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সন্ত্রাসবাদী দমনে ব্যবস্থা না নিলে পাকিস্তান ন্যাটো বহির্ভূত অন্যতম বড় মিত্র দেশের যে মর্যাদা পেয়ে আসছে, তাও আর তাকে দেওয়া হবে না বলে তাঁর সুরেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন বিদেশ সচিব রেক্স টিলারসন।

ওয়াশিংটন কোনও নিষেধাজ্ঞা চাপালে বা ওই মর্যাদা হ্রাস করলে পাল্টা ইসলামাবাদেরও একটি শক্ত কূটনৈতিক পলিসি তৈরি বলে খবর পাক সংবাদপত্র 'দি এক্সপ্রেস ট্রিবিউন'-এর। পাক সরকারের ত্রিমুখী 'কঠোরতম কূটনৈতিক নীতি' তৈরি বলে জানিয়েছে সংবাদপত্রটি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।

সরকারি সূত্রের খবর, পাকিস্তান ঠিক করেছে, ধীরে ধীরে আমেরিকার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক কমিয়ে সীমিত পরিধির মধ্যে বেঁধে ফেলা হবে, সন্ত্রাসবাদ সংক্রান্ত বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা কমানো হবে, আফগানিস্তানে আমেরিকাকে সাহায্যের পরিমাণও কমবে। আর একেবারে শেষ পন্থা হিসাবে আফগানিস্তানে ন্যাটোর সরবরাহ পাঠানোয় পাকিস্তানের মাটি ব্যবহারেও নিষেধাজ্ঞা জারি হতে পারে বলে খবর পাক দৈনিকটির।
যদিও ন্যাশনাল সিকিউরিটি কমিটির সম্মতি দিলেই এই পলিসি কার্যকর হবে।

এর মধ্যেই অবশ্য আগামীকাল শুরু হতে চলা রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে মতভেদ কাটানোর চেষ্টা করতে পারেন দু দেশের বিদেশমন্ত্রীরা।

পাক প্রধানমন্ত্রী শাহিদ খাকান আব্বাসির সঙ্গেও কথা হতে পারে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের।