ইসলামাবাদ: ডোনাল্ড ট্রাম্প ইতিমধ্যে পাকিস্তানকে দুষেছেন সন্ত্রাসবাদীদের নিরাপদ আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে। স্বাভাবিক ভাবেই অখুশি পাকিস্তান আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক সামগ্রিকভাবে খতিয়ে দেখছে বলে জানালেন পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী খুররম দস্তগীর খান। পাক সংবাদপত্র দি ডন-এর খবর, ভারতের দিক থেকে পাকিস্তানের সামনে তৈরি হওয়া 'বিপদ' আমেরিকা উপেক্ষা করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, যুক্তি, তথ্য ও প্রমাণ দিয়ে আমরা আমাদের বক্তব্য ব্যাখ্যা করব। কিন্তু ওদের খুশি করা আমাদের কাজ নয়।

ভবিষ্যতের দ্বিপাক্ষিক বোঝাপড়া নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে আলোচনার আগে পাক সরকার আঞ্চলিক স্তরে তত্পরতা বাড়াচ্ছে বলেও জানান তিনি।

খান বলেন, পাকিস্তান, আমেরিকার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিতে খোলামেলা আলোচনা হওয়া উচিত, কেননা তাদের মধ্যে মতভেদ থাকলে তা আফগানিস্তান ও অন্যান্য আঞ্চলিক ইস্যুতেও তার প্রভাব পড়বে।

তিনি ক্ষোভের সুরে জানান, ভারত সম্পর্কে পাকিস্তানের মনোভাবের শরিক নয় আমেরিকা। এমনকী আমেরিকা, ভারত ও আফগানিস্তানের আঁতাত পাকিস্তানের কাছে বিপদ বলেও দাবি করেন তিনি।

বলেন, আমেরিকা সব জানে, কিন্তু নিজের কৌশলগত স্বার্থে আমরা যেসব বিপদের মুখে রয়েছি, সেগুলি উপেক্ষা করে চলেছে। তবে আমেরিকার সঙ্গে আগামীদিনের আলোচনায় ভারত সম্পর্কে আপত্তি, উদ্বেগের কথা পাকিস্তান বলে যাবে। ভারতের দিক থেকে আমাদের যে বিপদ হতে পারে, তা আমেরিকা উপেক্ষা করতে পারে না।

পাশাপাশি আমেরিকা বারবার গোলপোস্ট বদলাচ্ছে বলে মন্তব্য করে তা পাকিস্তানের সামনে আরেকটি চ্যালেঞ্জ বলে অভিমত জানান খান। বলেন, পাকিস্তান আমেরিকাকে এই পরামর্শই দিতে চায় যে, আফগানিস্তানে আক্রমণাত্মক অভিযান তীব্র, জোরদার করে লাভ হবে না, আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার রাজনৈতিক বোঝাপড়াই হওয়া কাম্য।

ডন-এর খবর, পাক প্রধানমন্ত্রী শাহিদ খাকান আব্বাসির সঙ্গে আগামী সপ্তাহে নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদের সভায় যোগ দেবেন বিদেশমন্ত্রী খোয়াজা আসিফ। তিনি ওয়াশিংটনে মার্কিন বিদেশসচিব রেক্স টিলারসনের সঙ্গে দেখা করতে যেতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। বৈঠকটি হওয়ার কথা ছিল আগস্টের মাঝামাঝি। তবে ট্রাম্প আফগানিস্তান পলিসি ঘোষণার পর পাকিস্তানের আর্জিতে তা স্থগিত রাখা হয়।